দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: কর্ণাটকের শিবামোগা শহরে উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের এক সদস্য খুনের জেরে আবারও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। শহরটিতে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সব স্কুল-কলেজ। নিষিদ্ধ করা হয়েছে সব ধরনের জনসমাগম। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ। খবর এনডিটিভির।

জানা যায়, রোববার রাতে হর্ষ নামে বজরং দলের এক সদস্যকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। এর পরপরই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। অজ্ঞাত একদল লোক বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

পুলিশ এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সাম্প্রতিক হিজাব-কাণ্ডের কোনো যোগসূত্র নেই দাবি করলেও এর জন্য মুসলিমদেরই দায়ী করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী কে এস ঈশ্বরাপ্পা। শুধু তা-ই নয়, কংগ্রেসের উসকানিতে এ ঘটনা ঘটেছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।

ভারতীয় এ মন্ত্রীর দাবি, ‘মুসলিম গুণ্ডারা তাকে (হর্ষ) খুন করেছে। রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি ডি কে শিবকুমারের উসকানিমূলক বক্তব্যই গুণ্ডাদের সাহস জুগিয়েছে।’ এসময় রাজ্যে ‘কোনো গুণ্ডাগিরি সহ্য করা হবে না’ বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে চার যুবক হর্ষের ওপর আক্রমণ করে। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, কিন্তু শেষপর্যন্ত বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় দদ্দাপেটে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আমরা সূত্র পেয়েছি ও অভিযুক্তদের গ্রেফতারের কাছাকাছি পৌঁছে গেছি। এর সঙ্গে হিজাব বিতর্কের কোনো সম্পর্ক নেই। হর্ষ ও হামলাকারীরা একে অপরকে চিনতো। এটি পুরোনো শত্রুতার ফল মনে হচ্ছে।

হর্ষের মৃত্যুর পরপরই শিবামোগায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে বিপুল সংখ্যক দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অরাগ জ্ঞানেন্দ্র বলেছেন, পুলিশ সূত্র পেয়েছে। তদন্তের পর খুনের কারণ বেরিয়ে আসবে। হামলার পেছনে কোনো সংগঠন রয়েছে কি না সে বিষয়ে আমাদের কাছে এখনো কোনো তথ্য নেই। পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাতে কিছু বিক্ষোভ হয়েছিল, কিন্তু এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।

হর্ষের ওপর হামলার বিষয়ে বজরং দলের রাজ্য আহ্বায়ক রঘু সক্লেশপুর বলেছেন, পুলিশের পদক্ষেপে আমরা খুশি নই। আমরা শিগগির পরবর্তী পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেবো।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২)