দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: কক্সবাজারের চকরিয়ায় পিকআপ চাপায় গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রক্তিম শীলও মারা গেছেন। এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ভোরে একই পিকআপ চাপায় নিহত হন তার পাঁচভাই। এ কয়দিন হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে তিনিও চলে গেলেন না ফেরার দেশে।

মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইসিইউ বিভাগের চিকিৎসক হারুনর রশীদ।

তাদের বাবা সুরেশের মৃত্যু হয় পাঁচ ছেলের মৃত্যুর ১০ দিন আগে। বাবার শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে গিয়ে ফেরার পথে মালুমঘাটা এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে পিকআপ চাপায় নয় ভাইবোনের মধ্যে পাঁচভাইয়ের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন- অনুপম শীল (৪৭), নিরূপম শীল (৪৫), দীপক শীল (৪০) ও চম্পক শীল (৩০) ও স্মরণ সুশীল (২৯)। এ দুর্ঘটনায় রক্তিম ও প্লাবন দুইভাই এবং আরেক বোন হীরা আহত হন। এরমধ্যে রক্তিমের অবস্থা ছিল আশঙ্কাজনক।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রক্তিমকে চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয় রক্তিম শীলকে। এর আগে ৮ ফেব্রুয়ারি তাকে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। এরপর সেখান থেকে তাকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হয়। ওখান থেকে মেডিকেলের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছিল।

এক দুর্ঘটনায় রক্তিমসহ চলে গেলেন ছয়জন। এর বছর দুয়েক আগে অসুস্থ হয়ে মারা যান আরেক ভাই। সবার ছোট প্লাবন এবার এইচএসসি পাস করেছেন। তিনি দুর্ঘটনায় সামান্য আহত হন। ইতোমধ্যে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন তিনি।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২)