প্রতিপক্ষের কাউকে আলাদা করে ভাবছেন না তামিম
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ঘরের মাঠে ওয়ানডে ফরম্যাটে বাংলাদেশ বরাবরই দুর্দান্ত। বড় বড় দলকেও কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়েছে টাইগাররা। তবে প্রতিপক্ষ যখন আফগানিস্তান, তখন স্বাভাবিক ভাবেই তাদের স্পিন বোলারদের নাম উঠে আসে সামনে। রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, মোহাম্মদ নবিরা যেকোনো দলের ব্যাটিং লাইন-আপে ধস নামিয়ে দিতে পারে।
যদিও টাইগার অধিনায়ক তামিম ইকবাল ভাবছেন না প্রতিপক্ষের কাউকে আলাদা করে। অথচ বাংলাদেশের বিপক্ষে ৮ ম্যাচের সবকটি ম্যাচ খেলেছেন মোহাম্মদ নবি। আফগান অধিনায়ক ৮ ম্যাচে নেন ১২টি উইকেট। রশিদ খান ৬ ম্যাচে নেন ১০ উইকেট। বাংলাদেশের মাটিতে ৩ ম্যাচেই নেন ৭ উইকেট। মুজিব বাংলাদেশের মাটিতে এর আগে কখনো না খেললেও ৩ ম্যাচে নেন ৬টি উইকেট।
সব ছাপিয়ে তামিমের আত্মবিশ্বাসের জায়গা ওয়ানডে ফরম্যাট বলেই মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে ওয়ানডের অধিনায়ক বলেছেন, ‘আমি নির্দিষ্ট কোনো বোলারকে নিয়ে বেশি কথা বলতে চাই না। যেটা বললাম- তাদের বোলিং অনেক ভালো, সম্ভবত সেরা স্পিন অ্যাটাক তাদেরই। কিন্তু এদের বিপক্ষেই আমরা অতীতে অনেক ভালো করেছি, বিশেষ করে ওয়ানডে ফরম্যাটে। প্রতিপক্ষ নিয়ে না ভেবে, নিজেদের নিয়ে ভাবতে হবে। আপনারা তিনজনের নাম বলেছেন, কিন্তু তারা বল করবে ৫০ ওভার। বাকি যে দুইজন বল করবে তারাও ভালো। শুধু তিনজনকে নিয়ে চিন্তা করলেই হবে না।’
এর আগে দু’দলের ৮ বারের দেখায় ৫ ম্যাচে জয় পায় বাংলাদেশ। তামিম আফগানদের সমীহ করে বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সহজ বোলার আপনি খুব কমই পাবেন। ভিন্ন ভিন্ন চ্যালেঞ্জ সব সময়ই থাকে। একদল হয়তো স্পিনে ভালো, আরেক দল হয়তো পেসে। আমাদের মানিয়ে নিয়ে নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে হবে।’
ওয়ানডে ফরম্যাটে বাংলাদেশের ব্যাটিং যতটা পরীক্ষিত, আফগানিস্তান সেদিক থেকে কিছুটা হলেও পিছিয়ে। তাই তো তামিম ইকবাল তাদের তিন বোলারকে নিয়ে নয়, ভাবছেন প্রতিপক্ষের এগারোটা উইকেট নিয়েও।
‘ওই তিন স্পিনার নিয়েই আমরা শুধু ভাবছি তা না। আমাদের ওদের এগারো উইকেট তুলতে হবে, তাই ওদের ব্যাটার নিয়েও আমাদের ভাবতে হয়। ৫০ ওভারে ওদের ৫-৬ বোলার বল করবে, সবকিছু নিয়ে ভাবতে হবে। আমরা জানি আমাদের ডেঞ্জার জোন কী কী হতে পারে, কোন কোন জায়গায় কীভাবে পরিকল্পনা করব। আমি যত কিছুই বলে দেই না কেন, মাঠে এটা করতে না পারলে কোনো লাভ হবে না।’
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২)