বড় ভাইকে টিম ম্যানেজার হিসেবে পেয়ে রোমাঞ্চিত তামিম
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: চাচা আকরাম খান এবং বড় ভাই নাফিস ইকবালকে দেখে ক্রিকেটকে নিয়েছেন বেছে তামিম ইকবাল। বড় ভাই নাফিস ইকবাল যখন জাতীয় দলে খেলেছেন, তখন তামিম বয়সভিত্তিক দলে।
স্বপ্ন দেখতেন, জাতীয় দলে দুই ভাই করবেন ওপেন। তবে সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি। নাফিস ইকবালের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার থেমে গেছে ১১ টেস্ট, ১৬ ওয়ানডে ম্যাচে।
২০০৪ থেকে ২০০৬-এই সংক্ষিপ্ত আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে বাংলাদেশের দুটি গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ের অংশীদার নাফিস ইকবাল। ২০০৫ সালে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট এবং টেস্ট সিরিজ জয় ও প্রথম ওয়ানডে সিরিজ জয়ী দলের গর্বিত সদস্য তিনি।
বড় ভাই-এর সাথে প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেট এবং ক্লাব ক্রিকেটে ওপেন করলেও জাতীয় দলে একসঙ্গে খেলতে পারেননি। এই আফসোসটা থেকেই যাচ্ছে। তবে জাতীয় দলের ড্রেসিংরুমে তামিম পাচ্ছেন এখন বড় ভাই নাফিস ইকবালকে।
টিম ম্যানেজার হিসেবে জাতীয় দলের অংশ এখন নাফিস। বড় ভাইকে কাছে পাওয়ায় তাই অন্য এক রোমাঞ্চ অনুভব করছেন তামিম-'অবশ্যই রোমাঞ্চকর ব্যাপার… আবেগের জায়গা থেকে যদি ভাবেন, খুবই গর্বের ব্যাপার যে একসঙ্গে দুই ভাই ড্রেসিং রুমে আছি । জাতীয় দলের দায়িত্ব পালন করছি। একসঙ্গে খেলার স্বপ্নটা পূণ হয়নি। তা ঠিক। তবে এভাবে একসঙ্গে থাকাটাও তো কম নয়। এই সুযোগটার জন্য আমি রোমাঞ্চিত।”
তামিম, নাফিসের বাবা ইকবাল খানের পরিচয় ছিল ফুটবলার এবং ক্রিকেটার। চাচা আকরাম খান, আফজাল, আকবরদের ক্রিকেটার হয়ে ওঠার পেছনে বাবা ইকবাল খানের অবদান কম নয়। দুই ছেলে তামিম এবং নাফিস ইকবালকেও ক্রিকেটার হিসেবে দেখতে চেয়েছেন ইকবাল খান।
তবে দুই ছেলের আন্তর্জাতিক অভিষেকের আগেই পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে গেছেন ইকবাল খান। বাবার এই শুন্যতা তীব্রভাবে উপলব্ধি করছেন তামিম ইকবাল-'আমরা একসঙ্গে আছি এখানে, তাতে সবাই খুশি। বাবা বেঁচে থাকলে আজ অনেক খুশি হতেন। তিনি সবসময় চাইতেন আমাদেরকে একসঙ্গে জাতীয় দলে দেখতে। খেলোয়াড় হিসেবে না হলেও তো আজ আমরা একসঙ্গে আছি! আম্মুও দারুণ খুশি। উনারও স্বপ্ন ও ইচ্ছা ছিল অনেক, আমরা জাতীয় দলে খেলব একসঙ্গে। এখন অন্যভাবে একসঙ্গে আছি, লম্বা সময় যেন থাকতে পারি, এই দোয়া করছেন।'
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২)