দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: বেলারুশে গণভোট এখন দেশটির পারমাণবিক অস্ত্র পাওয়ার পথ সুগম করে দিয়েছে। ১৯৯০ সালে স্বাধীনতা লাভ করা সাবেক এই সোভিয়েত রাষ্ট্র এবং বর্তমানে ক্রেমলিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে থাকা দেশটির এমন সিদ্ধান্ত ইউরোপে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার দেশটিতে হওয়া একটি গণভোট বেলারুশের বর্তমান পরমাণু অস্ত্রমুক্ত অবস্থানকে পরিবর্তন করে একটি নতুন সংবিধান গ্রহণের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো দেশটিকে শক্তভাবে নিয়ন্ত্রণ করেন।

রোববার এক গণভোট কেন্দ্রে ভাষণ দেয়ার সময় লুকাশেঙ্কো বলেন, আপনারা যদি (পশ্চিমারা) আমাদের সীমান্ত ঘেঁষে পোল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়াতে পারমাণবিক বোমা রাখেন। তাহলে আমিও পুতিনের কাছে যাব এবং রাশিয়াকে নিঃশর্তভাবে দেয়া পারমাণবিক অস্ত্রগুলো ফেরত চাইব।

১৯৯৪-১৯৯৬ সালের মধ্যে প্রাক্তন সোভিয়েত রাষ্ট্র বেলারুশ, কাজাখস্তান ও ইউক্রেন নিরাপত্তা নিশ্চয়তার বিনিময়ে পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগ করে। যদিও এরই মধ্যে সেই নিরাপত্তা নিশ্চয়তার প্রতিশ্রুতি ভেঙে গেছে।

এদিকে রাশিয়া ইউক্রেনের ওপর হামলা অব্যাহত রেখেছে। ইউক্রেনে হামলার ক্ষেত্রে বেলারুশের সীমান্তকেও ব্যবহার করছে রুশ সেনা। যদিও গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, সামরিক লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারছে না রুশ সেনারা। এদিকে আলোচনার সম্ভাবনা দেখা দিয়েও শেষ মুহূর্তে আলোচনা বাতিল করেছে ইউক্রেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২)