সাকিবের থেকে ১ বছরের পরিকল্পনা চাইবে বিসিবি
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: আইপিএলের মেগা নিলামের দুইদিনে দুইবার নাম ওঠার পরও সাকিবকে দলে ভেড়ানোর ব্যাপারে কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি আগ্রহ দেখায়নি। অবিক্রিত থাকায় তার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টেস্ট খেলার সুযোগ হয়েছে।
৩১ মার্চ থেকে শুরু হওয়া টেস্ট সিরিজ খেলতে শুধু তার ইচ্ছাটাই যথেষ্ট। বিসিবি সাকিবকে ওয়ানডের পাশাপাশি টেস্ট সিরিজেও পেতে মুখিয়ে আছে। কিন্তু সাকিবের ইচ্ছাটাই এখনো জানতে পারেনি বোর্ড।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শেষ হচ্ছে আজ সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি)। সামনের ৪৮ ঘণ্টায় সাকিবের টেস্ট খেলার সিদ্ধান্ত জেনে যাবে বিসিবি। দুদিনের মধ্যে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে বসারও কথা রয়েছে সাকিবের। সেখান থেকেই আসবে সিদ্ধান্ত।
ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস সোমবার চট্টগ্রামে বলেছেন, ‘সাকিব একটা চিঠি দিয়েছিল যে ৬ মাসের জন্য টেস্ট খেলবে না। টেস্ট থেকে অব্যাহতি চেয়েছে। কিন্তু সেটা আইপিএল নিলামের আগে। এরপরে আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করা হয়েছিল যে সে শ্রীলঙ্কা সিরিজে খেলবে।’
‘এখন আইপিএলে যেহেতু যাচ্ছে না, তো পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে। সে বলেছে এই সিরিজের পরই বোর্ড সভাপতির সঙ্গে বসবে। বসে তার পরিকল্পনা জানাবে।’ – যোগ করেন তিনি।
সামনেই ক্রিকেটারদের কেন্দ্রীয় চুক্তি নবায়ন করবে বোর্ড। বেতন বাড়ানোর প্রস্তাবও এসেছে। গত বছরের মতো এবারও কে কোন ফরম্যাটে খেলতে চায় তা আগে থেকেই জানতে চাইবে বোর্ড। তবে সাকিবের জন্য বিসিবি আরও গভীরে যাবে। বিসিবি এবার তার কাছ থেকে এক বছরের পরিকল্পনা জানতে চাইবে।
জালাল ইউনুস যোগ করেন, ‘শুধু দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ না, সব বিষয়ই সাকিবের কাছে থেকে জানতে চাইবো। আমরা তার কাছে এক বছরের পরিকল্পনা চাইবো।’
বাংলাদেশের সবশেষ দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করেছিল ২০১৭ সালে। সেবারও সাকিব টেস্ট সিরিজ থেকে ছুটি নিয়েছিলেন। তার টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি অনাগ্রহের আলোচনাও মূলত শুরু হয়েছিল তখনই। আইসিসির নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার পর সেই আলোচনা সাকিব নিজেই বাড়িয়ে দেন। ২০২১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট খেললেও চোটের কারণে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান। আইপিএলে খেলবেন বলে গত বছর শ্রীলঙ্কায় টেস্ট সফরে যাননি। এ বছরের শুরুতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ থেকেও পারিবারিক কারণে ছুটি নিয়েছিলেন।
চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটার হিসেবে দেশের হয়ে সবগুলো খেলায় অংশগ্রহণে বাধ্য সাকিব। অবশ্য বিশেষ কারণে তার অনুপস্থিতি মানতে বাধ্য বিসিবি। তবে সাকিবকে কোনোভাবেই টেস্ট খেলার জন্য জোরাজুরি করবে না বোর্ড, তা আগেভাগেই জানিয়ে দিলেন জালাল ইউনুস, ‘এটা (বিসিবি) তো সেই ধরণের সংস্থা না। দয়া করে তাদেরকে আমাদের এমপ্লয়ি হিসেবে কনসিডার করবেন না। তারাও ক্রিকেটের একটি স্টেকহোল্ডার। হ্যাঁ, চুক্তি অনুযায়ী বাইন্ডেড থাকে। তবে সব জায়গায় আমরা কঠোর থাকি তা তো না। সমস্যা থাকলে বলতেই পারে। সিদ্ধান্তটা হলো আমাদের, যে আমরা কিভাবে নিবো। সে যদি চায় নির্দিষ্ট সময় টেস্ট খেলব, সেই স্বাধীনতা কি তার নাই? বলতে পারে। আগে দেখি সে কি জানায়।’
তবে সাকিবের টেস্ট খেলার আগ্রহ আছে তা জানিয়েও রাখলেন জালাল ইউনুস, ‘আপনারা নিউজ করেছেন যে টেস্ট ম্যাচ সে খেলতে চাচ্ছে না। আবার আমরা জানি টেস্ট ম্যাচ সে খেলতে চায়। সে কতগুলো টেস্ট ম্যাচ খেলবে, পরিকল্পনাটা কি, সেটা আমরা জানতে চাচ্ছি। সেটা পরিস্কার করুক আমাদের কাছে। ওয়ানডে সিরিজের পর আমরা জানতে পারবো।’
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২)