দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: আজ ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্য তথা বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় কারিতাস বাংলাদেশের কয়েক হাজার কর্মী ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এক সাথে সার্বজনীন প্রার্থনা করেন। পোপ ফ্রান্সিস-এর আহ্বানে বিশ্বের নানা দেশে আজ একইভাবে প্রার্থনা করা হচ্ছে।

কারিতাস বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও খুলনার বিশপ জেমস রমেন বৈরাগী বলেন, বর্তমান সময়ে মানুষের জীবনে, সমাজে শান্তি একটি বড় চাহিদা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ সারা বিশ্বে বিভিন্ন জায়গায় যুদ্ধ বিগ্রহের ফলে মানুষ ঘর বাড়ি ছেড়ে পলায়ন করছে এবং অশান্তিতে বাস করছে। তিনি আরও বলেন, আজকে আমরা এই প্রত্যাশা করি, সারা বিশ্বের মানুষ যেন এটা উপলব্ধি করি এবং আমাদের মনের পরিবর্তন হয়- হিংসা বিদ্বেষ ও সংঘাত নয়, আমরা যেন প্রত্যেকে শান্তিতে বসবাস করতে পারি। ভাই-বোন হিসেবে একে অপরকে গ্রহণ করতে পারি। আমরা যেন সকলে শান্তির মানুষ হই।

কারিতাস বাংলাদেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও ক্যাথলিক বিশপ সম্মিলনীর ভাইস-প্রেসিডেন্ট বিশপ জের্ভাস রোজারিও বলেন, আজ আমরা খুবই ভারাক্রান্ত হৃদয়ে এই প্রার্থনা সভায় মিলিত হয়েছি। ইউক্রেন-রাশিয়ার মানুষ অন্যায্য যুদ্ধের শিকার হচ্ছে, প্রাণ হারাচ্ছে। যারা যুদ্ধের বিভীষিকা থেকে পালিয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে- এই কষ্টের সময়েও যেন তারা সৃষ্টিকর্তার ওপর নির্ভর করতে পারে এবং তারা নিরাপদ থাকতে পারে- এই প্রার্থনা করি।

কারিতাস বাংলাদেশের পরিচালক-কর্মসূচি জেমস্ গোমেজ উল্লেখ করেন, করোনাকালেবিশ্ব এমনিতে বিপর্যস্ত। এমতাবস্থায় কোনোভাবেই এরকম একটি যুদ্ধ দেখতে চায়নি শুভবুদ্ধি সম্পন্ন কোনো মানুষ। তারপরও, যুদ্ধ দেখতে হলো। ইউক্রেন-রাশিয়ার আগ্রাসনে শুধু সে দেশ বা ইউরোপের শান্তিই বিঘ্নিত হয়নি। এর নেতিবাচক নানা প্রভাব সারা বিশ্বের ওপরই পড়েছে। তাই আসুন আমরা ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্য যে সংঘাতময় অবস্থা চলমান রয়েছে তা সমাপ্তির জন্য প্রার্থনা করি।

আরও বক্তব্য রাখেন কারিতাস বাংলাদেশের চ্যাপলেইন ও নটর ডেম কলেজের অধ্যাপক ড. ফাদার লিটন হিউবার্ট গমেজ, সিএসসি। সারা বাংলাদেশের কারিতাসের বিভিন্ন অঞ্চল, ট্রাস্ট ও প্রকল্প থেকে কারিতাসের কর্মীগণ ভার্চুয়ালি জুম অ্যাপের মাধ্যমে এপ্রার্থনায় অংশ নেন। শুধু ইউক্রেন ও রাশিয়া নয়, বিশ্বেও যে সকল স্থানে যুদ্ধাবস্থার
কারণে মানুষ হতাহত-ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তাদেও সবার জন্য প্রার্থনা করা হয়।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০২ মার্চ, ২০২২)