দেশে শিক্ষা ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তনের বিপ্লব আসন্ন : টেলিযোগাযোগমন্ত্রী
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, দেশে শিক্ষা ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তনের বিপ্লব আসন্ন। এ লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজিটাল সংযুক্তি ও ডিজিটাল যন্ত্র নিশ্চিত করা অপরিহার্য।
তিনি বলেন, মিশ্র শিক্ষা-সংক্রান্ত বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে ইতোমধ্যে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে টাস্কফোর্স কয়েকটি বৈঠকও করেছে।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘মিশ্র শিক্ষা স্থায়ী পদ্ধতি নয়, এটি প্রাচীন শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে যুগোপযোগী শিক্ষার উত্তরণের গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ। তাই আমাদের বস্তÍুত ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তণ করতে হবে।’
আজ রাজধানীতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল কানেক্টিভিটি স্থাপন’ শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে এটুআইয়ের পলিসি অ্যাডভাইজার আনির চৌধুরী বক্তৃতা করেন।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ।
‘কোভিড-১৯ পূর্ববর্তী অবস্থায় আমরা আর ফিরে যাব না’ উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আমরা ২০০৯ সাল থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছি। কভিড-১৯ মহামারিকালে আমরা এর প্রয়োজনীয়তাও উপলব্ধি করেছি।’
তিনি জানান, ২০০৮ সালে অনেকের কাছে মনে হয়েছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ সম্ভব না । এখন কেবল ডিজিটাল বাংলাদেশই নয়, ডিজিটাল প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও বিস্ময়কর সফলতা অর্জন করেছে এই দেশ।
ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রনায়ক মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ৩২৪ বছর পিছিয়ে থেকেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ ফাইভ-জি প্রযুক্তিতে সারা পৃথিবীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে। ‘চলতি মার্চ মাসেই ফাইভ-জি প্রযুক্তি ‘আমরা নিলাম করব’ বলেও মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
শিক্ষা ক্ষেত্রে ডিজিটাল রূপান্তরের অন্যতম কারিগর মোস্তাফা জব্বার বিদ্যমান শিক্ষা ব্যবস্থায় কানেক্টিভিটি ও কনটেন্ট তৈরি এবং শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
তিনি বলেন, পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাকে ডিজিটাল করা বড় চ্যালেঞ্জ।
সভাপতির বক্তৃতায় শ্যাম সুন্দর সিকদার শিক্ষার টেকসই ডিজিটাল রূপান্তরে কানেক্টিভিটিকে অন্যতম চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেন। এ ক্ষেত্রে বিটিআরসির নিবিঢ় সম্পর্কের প্রয়োজনীয়তার ওপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৫ মার্চ, ২০২২)