দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ৩০৪ কোটি টাকার সাতটি চেক জালিয়াতির প্রতারণা থেকে রক্ষা পেল সোনালী ব্যাংকের দিলকুশা করপোরেট শাখা। শাখাটির কর্মকর্তাদের বুদ্ধিমত্তায় এমনটি সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন শাখাপ্রধান ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. ওহিদুজ্জামান।

এই জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত আজারুর রহমান ফারুক নামে এক ব্যক্তিকে গতকাল বুধবার বিকেলে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় সোনালী ব্যাংক লিমিটেড।

সোনালী ব্যাংক জানায়, মৎস্য অধিদপ্তরের দারিদ্র্য বিমোচন সমন্বিত মৎস্য চাষ প্রকল্পের নামে সাড়ে ৩৭ কোটি টাকার একটি চেক সোনালী ব্যাংকের দিলকুশা করপোরেট শাখায় নগদায়ন করার জন্য জমা দেওয়া হয়। তবে যাচাই-বাছাই করে শাখা নিশ্চিত হয় যে চেকটি জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে।

এ ছাড়া তাৎক্ষণিকভাবে মৎস্য অধিদপ্তরে যোগাযোগ করা হলে তারা জানায়, অধিদপ্তর এ বিষয়ে কোনো চেক ইস্যু করেনি এবং প্রকল্পটি বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। ফলে বিষয়টি স্পষ্ট হয় যে এটা জালিয়াতি। পরে জাল চেক বহনকারী আজারুর রহমান ফারুককে মতিঝিল থানায় সোপর্দ করা হয়। পুলিশ ফারুকের দেহ তল্লাশি করে আরো ২৬৬ কোটি ৫০ লাখ টাকার ছয়টি জাল চেক উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে শাখাপ্রধান ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. ওহিদুজ্জামান মতিঝিল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১০ মার্চ, ২০২২)