দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: মেলার শেষ শুক্রবারে অমর একুশে বইমেলা ছিলো জমজমাট। শিশুপ্রহরে বাধ ভাঙা আনন্দে মেতে ওঠে বাবা-মায়ের হাত ধরে আসা কচিকাঁচার দল। মেলার শেষ সপ্তাহে আরও ভালো বেচা-কেনার প্রত্যাশা লেখক-প্রকাশকদের।

অমর একুশে বইমেলার শেষ শুক্রবার হওয়ায় শিশুপ্রহরে দেখা গেছে কচিকাচাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। বেলা ১১টা থেকে একটা পর্যন্ত নানা আয়োজনে মেতে ছিলো শিশুরা। পাপেট শো'র মাধ্যমে শেখানো হয় ভাষা ও স্বাধীনতার তাৎপর্য। ছিল ছবি আঁকার আয়োজনও।

বিকেলে আড্ডা আর বই কেনার মধ্য দিয়ে আরও জমে ওঠে মেলা প্রাঙ্গণ। লেখক প্রকাশকের পাশাপাশি দর্শনার্থীর সংখ্যাও ছিলো চোখে পড়ার মতো। আগের তুলনায় বেড়েছে বিক্রিও।

লেখক ও প্রকাশকরা জানান, সমাজের বিভিন্ন দ্বন্দ সমস্যা নিয়েই কিছু গল্প লিখেছি। কয়েকটি ছোট গল্প আরকি। এলিয়েনদের নিয়ে কথা আছে। এবার আমরা চমৎকার সাজা পাচ্ছি। আমরা প্রকাশকরা নতুন বই নিয়ে আসছি। সবাই এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করে।

প্রাণের এই মেলায় দেখা গেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ভিন্নভর্মী এক উদ্যোগ। বিনামূল্যে হুইল চেয়ার সেবার মাধ্যমে প্রতিবন্ধি পাঠক-দর্শনার্থীদের সেবা দিয়ে আসছে তাদের সংগঠন সুইচ বাংলাদেশ। শেষ সময়ে এসে বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থীদের পদচারণায় বইমেলার চিরচেনা রূপ হয়ে ওঠে আরও প্রানবন্ত।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১২ মার্চ, ২০২২)