দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ইউক্রেনের পূর্ব এবং দক্ষিণে, সেইসাথে রাজধানী কিয়েভের আশেপাশের অঞ্চলগুলিতে রাশিয়ান আক্রমণের দিকে মনোযোগ বিশ্বের। এরই মধ্যে মাতৃভূমি ছেড়ে শরণার্থী হয়েছেন ২৫ লাখ ইউক্রেনীয়। এতকিছুর মধ্যেও শক্তিশালী রাশিয়ার বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছেন ইউক্রেনীয়রা। সেই যাত্রায় এবার শামিল হলেন  ইউক্রেনের গ্র্যান্ড মুফতী শায়খ সাইদ ইসলামইলভ।

রাশিয়ার থেকে নিজের দেশকে বাঁচাতে সেনাবাহিনীর পোশাক পরে রণাঙ্গনে নেমে এসেছেন তিনি।

এর আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার দেশের সর্বসাধারণকে দেশরক্ষায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামার আহ্বান জানান। তার ডাকে সাড়া দিয়েই দেশটির গ্র্যান্ড মুফতী যুদ্ধে নেমে পড়লেন।

সেনাবাহিনীর পোশাক পরিহিত তার বেশ কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও শেয়ার করেছেন তিনি। একইসাথে শায়খ সাইদ ইসলামইলভ ইউক্রেনের প্রতিটি মুসলিমকে দেশ রক্ষার্থে লড়াইয়ে নামার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘নিজেদের মাতৃভূমিকে রুশ আগ্রাসন থেকে বাঁচাতে আপনারা বাইরে বেরিয়ে আসুন এবং দেশের সেনাবাহিনীর হাত মজবুত করুন। রুশ আগ্রাসনের জবাব দেয়া আমাদের সবার কর্তব্য। ’

এর আগে গ্র্যান্ড মুফতী রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ইউক্রেনের ওপর হামলার ঘটনাকে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ আখ্যায়িত করে মুসলিম বিশ্বের কাছে নিজ দেশের পক্ষে সহায়তা কামনা করেন। এরপরও যেসব মুসলিম নেতা ও প্রতিনিধিরা রাশিয়ার এ পদক্ষেপকে সমর্থন দিচ্ছেন তাদের সমালোচনা করেছেন তিনি।

বলেছেন, ‘মুসলিম নেতা ও প্রতিনিধিদের এই অবস্থান আমাদের মা-বোন ও শিশুদের হত্যাকে সমর্থনের শামিল। আমি কখনোই তাদের ক্ষমা করতে পারব না। ’

উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সামরিক অভিযান ঘোষণার কয়েক মিনিট পরেই ইউক্রেনে বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে রুশ সেনারা। এরপর থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে। ইতোমধ্যে ইউক্রেন ছেড়েছেন ২৭ লাখের বেশি মানুষ। এ ছাড়া যুদ্ধে ইউক্রেনের ১৩শ’ সেনা নিহত এবং রাশিয়ার ১২ হাজার সৈন্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। তবে রাশিয়া বলছে, যুদ্ধে তাদের প্রায় ৫০০ সৈন্য নিহত এবং ইউক্রেনের আড়াই হাজারের বেশি সেনা নিহত হয়েছেন।

এ ছাড়া জাতিসংঘ জানিয়েছে, রুশ অভিযানে ইউক্রেনে ৫৬৪ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৪১ শিশু রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ইউক্রেনে আনুমানিক ৫ থেকে ৬ হাজার রুশ সেনা নিহত হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৫ মার্চ, ২০২২)