দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো রাশিয়ার সীমান্তবর্তী প্রতিবেশী বাল্টিক অঞ্চলের দেশগুলোতে আরো অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সেনা প্রস্তুত রাখার নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

নতুন করে রাশিয়ার সীমান্তবর্তী রোমানিয়া, লিথুনিয়া, এস্তোনিয়া ও পোল্যান্ডের মতো ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোতে যুদ্ধ বিমান, সাবমেরিন বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, সাঁজোয়া ট্যাংক ধ্বংসের গোলাবারুদ ও অন্যান্য ভারী অস্ত্রশস্ত্রের মজুত বাড়ানোর পাশাপাশি সেনা প্রস্তুত রাখতে যাচ্ছে জোটটি।

বুধবার (১৬ মার্চ) বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ন্যাটোভুক্ত ৩০ দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের পর গণমাধ্যমে এমন সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানান সংস্থাটির প্রধান জেন্স স্টলটেনবার্গ।

এ সময় স্টলটেনবার্গ জানান ন্যাটোভুক্ত কোনো দেশ এ মুহূর্তে যুদ্ধ না চাইলেও দেশগুলোর প্রতিরক্ষার জোরদার করতেই এমন সিদ্ধান্ত। তাছাড়া ১৯৯৭ সালে ন্যাটো এবং রাশিয়ার মধ্যে যে শান্তি চুক্তি হয়েছিল তা যে আদতেই অকার্যকর সেটিও পরিষ্কার করেন নরওয়ের এ সামরিক বিশেষজ্ঞ।

স্টলটেনবার্গ বলেন, ন্যাটোর সদস্যভুক্ত ৩০টি দেশই সামরিক খাতে কমপক্ষে দুই শতাংশ ব্যায় বাড়ানোর সিদ্ধান্তে স্বাগত জানিয়েছে জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্রিস্টিনা লাম্বরেখস্ট ও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক।

এরমধ্যেই জার্মানির অর্থনীতি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, একসময়ের পূর্ব জার্মানি ডিডিআর এর জন্য তৈরি সোভিয়েত ইউনিয়নের বিমানবিধ্বংসী কামান ‘স্ট্রেলা’ এবার যুদ্ধরত ইউক্রেনকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ইউক্রেনকে দুই হাজার ৭০০ যুদ্ধবিমান বিধ্বংসী রকেট খুব শিগগিরই সরবরাহ করা হবে।

এদিকে রাশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোতে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্তকে চরম আত্মঘাতী ও উসকানিমূলক বলছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

পুতিন বলেন, একদিকে ন্যাটো ও পশ্চিমা বিশ্ব বলছে আলোচনার মাধ্যমে সংঘাত নিরসণের কথা, অন্যদিকে আবার রাশিয়ার পশ্চিম সীমান্তে সৈন্য মোতায়েন আর ভারী অস্ত্র সরবরাহ করে ন্যাটো পুরো অঞ্চলের শান্তি বিনষ্টের পায়তারা করছে। এমন সিদ্ধান্ত অগ্রহণযোগ্য বলেও হুঁশিয়ারি দেন পুতিন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৭ মার্চ, ২০২২)