বইমেলার শেষ দিন আজ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: করোনা মহামারির কারণে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এবারও স্বাভাবিক ছিল না বইমেলা। যদিও করোনার প্রকোপ এখন বেশ নিয়ন্ত্রণে। গত দুই দিন করোনায় মৃত্যুশূন্য রয়েছে দেশ।
আগের মতো লেখক-পাঠকদের উপচেপড়া ভিড় ছিল না এবারের বইমেলাতেও। তবে গতবারের চেয়ে ভালো ছিল এবারের পরিস্থিতি। তারপরও পাঠক-লেখকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছিল বইমেলা। সেই মিলনমেলার ইতি ঘটছে আজ।
প্রতিবছর ১ ফেব্রুয়ারি থেকে বইমেলা শুরু হলেও করোনার কারণে এবার শুরু হয়েছে ১৫ ফেব্রুয়ারি। ওইদিন বিকেলে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বইমেলার উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এবারের বইমেলার মূল প্রতিপাদ্য ছিল- ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’।
প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা ছিল বইমেলা। ছুটির দিনে চলেছে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় সাড়ে ৭ লাখ বর্গফুট জায়গায় বইমেলা অনুষ্ঠিত হলো। মেলায় মোট ৩৫টি প্যাভিলিয়নসহ একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০২টি প্রতিষ্ঠানকে ১৪২টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৩২টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৩৪টি ইউনিট; মোট ৫৩৪ টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৭৬টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবারের মেলায়।
১৯৭২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির গেটে চট বিছিয়ে বই বিক্রি শুরু করেন মুক্তধারা প্রকাশনীর মালিক চিত্তরঞ্জন সাহা। ১৯৭৭ সালে তার সঙ্গে আরও অনেকে যোগ দেন। ১৯৭৮ সালে বাংলা একাডেমির তৎকালীন মহাপরিচালক আশরাফ সিদ্দিকী বাংলা একাডেমিকে এ বইমেলার সঙ্গে সম্পৃক্ত করেন। পরের বছর মেলার সঙ্গে যুক্ত হয় বাংলাদেশ পুস্তক বিক্রেতা ও প্রকাশক সমিতি।
১৯৮৩ সালে মনজুরে মওলা বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্বে থাকার সময় ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’ নামে এ মেলা আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হলেও তা আর করা যায়নি। পরের বছর ১৯৮৪ সালে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ‘অমর একুশে বইমেলা’র সূচনা হয়।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৭ মার্চ, ২০২২)