দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: গণতান্ত্রিক উপায়ে বিএনপিসহ যেকোনো রাজনৈতিক দলকেই জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, বিএনপি ‘আবারও’ নির্বাচন পরিহারের যে ধ্বংসাত্মক পথ বেছে নিয়েছে তা থেকে গণতান্ত্রিক পথে ফিরে আসার কোনো বিকল্প নেই। এ সত্য আজ দিবালোকের মতো স্পষ্ট যে বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে জনগণের মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তনকে বুঝতে সক্ষম হয়নি। বাংলাদেশ বা দেশের জনগণ আর সেই আগের অবস্থানে নেই যে চাইলেই কেউ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা ছিনতাই করে নেবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই এ দেশের গণতান্ত্রিক চেতনা ও অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধকে আহত করেছে।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নজিরবিহীন অত্যাচার-নির্যাতন চালানো, ধর্ষণকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার, আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যার পাশাপাশি হাজার হাজার নেতাকর্মীকে আহত করেছে এবং রাজনৈতিক মামলা দিয়েছিল। সেই নিষ্ঠুর সময়ের দুঃসহ স্মৃতি দেশবাসী এখনো ভুলে যায়নি।

তিনি বলেন, বিরোধী মতকে দমনের উদ্দেশ্যে তারেক রহমানের প্রত্যক্ষ মদদে ২১ আগস্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। যার প্রাইম টার্গেট ছিলেন শেখ হাসিনা।

বিএনপির কাজকর্মে ‘অমোচনীয় পাপ’ রয়েছে উল্লেখ করে তাদের দেশবাসী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে জানান কাদের।

তিনি বলেন, বিএনপি গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে কোনো অবদান রাখতে পারে বা পারবে, এমন মনে হয় না।

আওয়ামী লীগ পালানোর পথ পাবে না— বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, অন্ধকারের চোরাগলি দিয়ে পালানোর খারাপ নজির স্থাপন করেছে একমাত্র বিএনপি।

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, বিএনপি নেতা তারেক রহমান আর রাজনীতি করবেন না বলে মুচলেকা দিয়ে দেশত্যাগ করে লন্ডনে পালিয়েছিলেন, সে কথা কি বিএনপি ভুলে গেছে?

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৪ মার্চ, ২০২২)