দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : সপ্তাহের শেষদিন বৃ্হস্পতিবার (২৪ মার্চ) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক একচেঞ্জে ১৪৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। এর মধ্যে শীর্ষে আছে খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড। আগেরদিন (বুধবার) কেপিসিএলের শেয়ারের সর্বশেষ লেনদেন মূল্য ছিল ৩১ টাকা ৯০ পয়সা। এদিকে বৃহস্পতিবার দিনের শেষে শেয়ারটির মূল্য ছিলো ৩৫ টাকা। ৯ দশমিক ৭১ শতাংশ বা ৩ টাকা ১০ পয়সা বৃদ্ধি পেয়েছে আজ।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে গতকাল( বুধবার) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার একটি সিদ্ধান্ত বাজারে কেপিসিএলের দাম বাড়তে প্রধান ভূমিকা রেখেছে।

সর্বশেষ বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে পাঁচটি কেন্দ্র থেকে আরও দুই বছর বিদ্যুৎ কেনার সিদ্ধান্ত হয়। এসব কেন্দ্রের মধ্যে দুটি কেপিসিএলের। এই দুটি কেন্দ্রের সম্মিলিত উৎপাদনক্ষমতা ১১৫ মেগাওয়াট।

উল্লেখ্য ২০২১ সালের মে মাসে দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির ভবিষ্যত নিয়ে হতাশ হয়ে পড়ে। কুইকরেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো যে আইনের অধীনে অনুমোদন পায়, গত বছর সেপ্টেম্বরে সেই আইনের মেয়াদ বাড়ানোর পরও কেন্দ্রগুলো নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে সময় নিচ্ছিলো। এই তথ্যে এই কোম্পানিটির শেয়ার মূল্য বেড়েছে দিনের সর্বোচ্চ সীমা পর্যন্ত। তবে এ নিয়ে বাজার বিশ্লেষকদের ভিন্ন মত। তাদের মতে এসব কারণে দাম বৃদ্ধি পাওয়ার যুক্তি নেই। ব্যাপারটা অনেকটা ‘গাছে কাঠাল গোঁফে তেল’ এর মতো। বরং কারসাজিকারীরা এ ধরনের প্রচারণাকে কাজে লাগিয়ে শেয়ার কিনতে কিনতে দাম বাড়িয়ে আকাশ চুম্বি করে তোলে। সর্ব্বোচ্চ দরের শেয়ার বিনিয়োগকারীদের হাতে ধরিয়ে দিয়ে নিজেদের হাতে থাকা শেয়ার বিক্রি করে দেয়। তখন দর পতন ঘটে। পুঁজি খুইয়ে পথে বসে সাধারণ বিনিয়োগকারী।

কেপিসিএল সর্বশেষ ২০২১ সালে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। ২০১০ সালে মার্কেটে আসা এ ক্যাটাগোরির কোম্পানিটিতে পরিচালকদের শেয়ার রয়েছে ৬৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ। প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার রয়েছে ৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ। বিদেশী বিনিয়োগকারীর শেয়ার রয়েছে দশমিক ১৮ শতাংশ। সাধারণ বিনিয়োগকারীর শেয়ার রয়েছে ২০ দশমিক ৮৮ শতাংশ। কোম্পানিটিতে সরকারি কোন বিনিয়োগ নেই।

(দ্য রিপোর্ট / টিআইএম/২৪ মার্চ,২০২২)