দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: রাজধানীর শাহজাহানপুরে ফিল্মিস্টাইলে দুর্বৃত্তের গুলিতে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। নিহত টিপুর স্ত্রী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১১, ১২, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন।

আজ শুক্রবার সকালে শাহজাহানপুর থানায় করা এ মামলায় তিনি কারও নাম উল্লেখ করেননি। অজ্ঞাত আসামি হিসেবে মামলা করেছেন ডলি।

শাহজাহানপুর থানার ওসি মনির হোসেন মোল্লা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, নিহত জাহিদুল ইসলাম টিপুর স্ত্রী সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি শাহজাহানপুর থানায় মামলা করেছেন। মামলা নম্বর-১৮। অভিযোগে তিনি কারও নাম উল্লেখ করেননি।

মামলার এজাহারে টিপুর স্ত্রী অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১০টার দিকে শাহজাহানপুর থানাধীন ২০২ উত্তর শাহজাহানপুর মানামা ভবনে বাটার দোকানের সামনে পৌঁছামাত্র অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা হামলা করেন। তারা আমার স্বামী জাহিদুল ইসলাম টিপুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে গুলি করেন।

বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনের সড়কে দুর্বৃত্তরা টিপুকে লক্ষ্য করে এ গুলি চালায় বলে জানান স্থানীয়রা। এতে এক কলেজছাত্রীও নিহত হয়।

নিহতদের মধ্যে জাহিদুল ইসলাম টিপু (৫৪) মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। নিহত অপরজনের নাম সামিয়া আরেফিন প্রীতি (২৪)। তিনি বদরুন্নেসা কলেজের ছাত্রী ছিলেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির নাম মুন্না। তিনি নিহত জাহিদুল ইসলাম টিপুর গাড়িচালক বলে জানা গেছে।

স্থানীয়রা বলছেন, হামলার সময় টিপু একটি গাড়িতে ছিলেন। দুর্বৃত্তরা এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। রাত সোয়া ১১টার দিকে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

মিল্কী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন টিপু। জামিনে বের হয়ে তিনি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে খুব বেশি সক্রিয় ছিলেন না। স্ত্রী ডলি কাউন্সিলর হলে তার মাধ্যমেই নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। একসময়ের দাপুটে নেতা টিপুকে হত্যার জন্য পরিকল্পিতভাবেই হামলা করা হয় গাড়িতে। তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে অন্তত ১০-১২ রাউন্ড গুলি করা হয়।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৫ মার্চ, ২০২২)