দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ইউক্রেনীয়দের মানবিক সহায়তা হিসেবে ১ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে ১ লাখ শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে দেশটি।

বৃহস্পতিবার আরটির খবরে এ তথ্য জানানো হয়।

আরটি তাদের প্রতিবেদনে জানায়, মার্কিন সরকার বলেছে ইউক্রেনে মানবিক সহায়তার জন্য ১ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেওয়া হবে, পাশাপাশি ইউক্রেন থেকে পালিয়ে আসা ১ লাখ শরণার্থীকে স্বাগত জানাবে আমেরিকা।

রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক হামলা চালানোর এক মাস পর এই পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

দেশটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের জন্য মানবিক, গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার সহায়তার বৃহত্তম দাতা দেশ হতে পেরে গর্বিত।’

বাইডেন প্রশাসন জানায়, ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশগুলোতে লাখ লাখ শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোকেও সমর্থন দেবে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রের বরাদ্দ দেওয়া সাহায্যের অর্থ খাদ্য, বাসস্থান, বিশুদ্ধ পানি এবং চিকিৎসা সরবরাহে ব্যয় করা হবে। সহায়তার সুবিধার্থে ওয়াশিংটন ২৫ জনের সমন্বয়ে একটি দল মোতায়েন করেছে, যারা কিয়েভে জাতিসংঘ, এনজিও এবং সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে।

উপরন্তু, ইউক্রেন এবং প্রতিবেশী দেশগুলোতে ‘গণতন্ত্র’ এবং ‘মানবাধিকার’ অর্থায়নে ৩২০ মিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করবে বলে একটি রূপরেখা দিয়েছে হোয়াইট হাউস।

তবে সেই সব শরণার্থীরাই যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় পাবে যাদের আত্মীয়স্বজন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। কিন্তু যারা যুক্তরাষ্ট্রে যেতে অক্ষম তাদের সাহায্য করার জন্য, বাইডেন প্রশাসন বলেছে যে তারা শরণার্থী সংকট সমাধানে কাজ করা সরকার এবং মানবিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে এক হয়ে ইউরোপে ইউক্রেনের প্রতিবেশীদের সহায়তা অব্যাহত রাখবে।

আরটি জানায়, জাতিসংঘের মতে, সশস্ত্র সংঘাতের শুরু থেকে ৩ দশমিক ৬ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ইউক্রেন থেকে পালিয়েছে।

সূত্র : আরটি

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৫ মার্চ, ২০২২)