অস্ট্রেলিয়ার ঐতিহাসিক জয়
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় টেস্টে স্বাগতিক পাকিস্তানকে ১১৫ রানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। প্রায় ২৪ বছর পর অজিদের পাকিস্তান সফরের এই জয়কে ঐতিহাসিক না বলে উপায় আছে? সিরিজের আগের দুটি ম্যাচই নাটকীয়ভাবে ড্র হয়েছিল।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ৩৫১ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয়েছে ২৩৫ রানে। প্রথম ইনিংসে তাদের সংগ্রহ ছিল ২৬৮ রান। অস্ট্রেলিয়া নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩৯১ রান করার পর ৩ উইকেটে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে ২২৭ রান নিয়ে। অথচ দেড় দিন বাকি থাকতেই যখন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করেছিলেন, তখন সমালোচনা কম হয়নি। সাবেক তারকাদেরও কেউ কেউ তাকে আচ্ছামতো ধুয়ে দিয়েছিলেন।
করাচি টেস্টের মতো পাকিস্তান এই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়ানোর নজির দেখালে কামিন্সের অল্প রান নিয়ে ইনিংস ঘোষণার সিদ্ধান্তকে জুয়া খেলাই মনে হতো যে কারো কাছে। শুক্রবার (২৫ মার্চ) সকালে পাকিস্তান যেভাবে খেলেছে, অজি শিবিরে ভয় বাড়ারই কথা। পাকিস্তান যে জেতার দিকেই এগোচ্ছিল। কিন্তু পথের কাঁটা সরালেন কামিন্স নিজেই। বাবরদের দ্বিতীয় ইনিংসে গুরুত্বপূর্ণ ৩টি উইকেট নেন তিনি। নাথান লায়ন নেন ৫ উইকেট।
পাকিস্তানের হয়ে এই ইনিংসে সর্বোচ্চ ৭০ রান করেন ইমাম-উল-হক। বাবর আজমের ব্যাট থেকে আসে ৫৫ রান। বাকিদের মধ্যে আবদুল্লাহ শফিক ২৭, সাজিদ খান ২১ ও আজহার আলি ১৭ রান করেন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে লায়ন ও কামিন্স বাদে একটি করে উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক ও ক্যামেরন গ্রিন। এই ম্যাচের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান উসমান খাজা। পাকিস্তানের বোলারদের তুলাধুনা করে ১৭৮ বলে ১০৪ রান করেন তিনি।
এ ম্যাচ দিয়ে টেস্টে দ্রুততম ৮ হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছেছেন স্টিভ স্মিথ। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭ রান করে আউট হয়েছিলেন তিনি। তাতে ৮৫ টেস্টে ১৫১ ইনিংসে ৮ হাজার ১০ রান হলো তার। এ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারা। ৯১ ম্যাচে ১৫২ ইনিংসে ৮ হাজার রান পূর্ণ হয়েছিল তার।
শচীন টেন্ডুলকার ৮ হাজারি ক্লাবে পা রাখেন ৯৬ টেস্টে ১৫৪ ইনিংসে। স্মিথের রেকর্ডের ম্যাচে তার ব্যাটিং গড় নেমে এসেছে ষাটের নিচে। দীর্ঘ সাড়ে চার বছর পর এমন অধোগতি হলো তার। এর আগে সবশেষ ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে ষাটের নিচে ছিল তার টেস্ট ব্যাটি গড়।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৫ মার্চ, ২০২২)