দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: রাজধানীর শাহজাহানপুরে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরান জামাল প্রীতির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার (২৫ মার্চ) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. জান্নাতুন নাইম তাদের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন।

জানা গেছে, টিপুর শরীর থেকে সাতটি গুলি বের করা হয়েছে। আর প্রীতির শরীরে কোনো গুলি পাওয়া যায়নি। কারণ তার শরীরের এক দিকে গুলি ঢুকে অন্যদিকে বেরিয়ে গেছে।

প্রীতির লাশের সুরতাল করেন শাহজাহানপুর থানার এসআই তমা বিশ্বাস। সুরতহাল প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, প্রীতির বাম স্তনের ওপরে একটি ছিদ্র এবং পিঠের ডান পাশে মাঝ বরাবর একটি গোল চিহ্ন রয়েছে।

এদিকে টিপুর লাশের সুরতহাল করেছেন শাহজাহানপুর থানার এসআই ঠাকুর দাস মালো। সুরতহাল প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, টিপুর গলার পাশে একটি গোলাকার ছিদ্র চিহ্ন আছে, বুকের বাঁঁ পাশে একটি ছিদ্র চিহ্ন, নাভির ওপরে পেটের মধ্যভাগে একটি, বাম বগলের কাছে একটি, বাম কাঁধের ওপর দুটি, পিঠের বাম পাশে একটি, পিঠের ডান পাশে কোমরে চারটি, ডান নিতম্বে তিনটি গোলাকার ছিদ্র চিহ্ন রয়েছে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাত সোয়া দশটার দিকে শাহজাহানপুর এলাকায় টিপুর মাইক্রোবাস লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে হেলমেট পরা দুর্বৃত্তরা। এতে টিপু ও তার গাড়িচালক মুন্না গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় রিকশায় বসে থাকা সামিয়া আফরিন ওরফে প্রীতি নামে এক কলেজছাত্রীও গুলিবিদ্ধ হন।

গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক টিপু ও প্রীতিকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত প্রীতি বদরুন্নেসা কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।

নিহত টিপু ছিলেন যুবলীগ নেতা রিয়াজুল হক খান মিল্কি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। ২০১৩ সালের ২৯ জুলাই গুলশানের শপার্স ওয়ার্ল্ড নামের একটি শপিংমলের সামনে যুবলীগ নেতা মিল্কীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে অনেক দিন কারাগারে ছিলেন টিপু। পরে তিনি জামিনে মুক্ত হন।

পুলিশ জানায়, মিল্কি হত্যা মামলার এজাহারে টিপুর নাম থাকলেও ওই সময় তদন্তে তার সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় আদালত তাকে ওই মামলা থেকে জামিন দিয়েছিলেন। তাই টিপু হত্যার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে ঘটনাটি পরিকল্পিত বলেই মনে করছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৬ মার্চ, ২০২২)