দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দাবি করেছেন, বিরোধী দলের অনাস্থা প্রস্তাব আসলে তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে ‘বিদেশি অর্থায়নে সংগঠিত ষড়যন্ত্র’।

তিনি আরো বলেছেন, পাকিস্তানের পররাষ্ট্র নীতিকে বিদেশি চাপমুক্ত রাখার উদ্যোগ নেওয়াতেই এ ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হচ্ছে তাঁর সরকারকে।

রোববার (২৮ মার্চ) ইসলামাবাদের প্যারেড গ্রাউন্ডে দলীয় সভায় বক্তব্য দেন ইমরান খান। পিটিআই অন্য নেতারা বক্তব্য দেওয়ার পর নিজের ভাষণ শুরু করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।

প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী বক্তব্যে নিজ রাজনৈতিক মতাদর্শ তুলে ধরেন তিনি। এ সময় পিটিআই সরকারের অর্জন হিসেবে কিছু বিষয় তুলে ধরেন। তীব্র সমালোচনা করেন বিরোধীদের।

বক্তব্যের শেষ দিকে ইমরান খান বলেন, ‘বিদেশ থেকে আমাদের পররাষ্ট্র নীতিতে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করা হচ্ছে। কয়েক মাস আগে থেকেই আমাদের কাছে এই ষড়যন্ত্রের খবর রয়েছে। কারা এদেরকে (বিরোধী দলগুলো) জড়ো করেছে আমরা তা-ও জানি। কিন্তু সময় বদলে গেছে। এটা জুলফিকার আলী ভুট্টোর যুগ নয়। ’

ইমরান আরো বলেন, ‘এটি সামাজিক মাধ্যমের যুগ। কোনো কিছু লুকিয়ে রাখা সম্ভব না। আমরা কারো হুকুম মানবো না। আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখব, কিন্তু কারো সামনে নত হবো না। ’

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, ‘বৈদেশিক মুদ্রার মাধ্যমে পাকিস্তানের সরকার পরিবর্তনের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদের লোকদের ব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা জানি কোন জায়গা থেকে আমাদের চাপে ফেলা হচ্ছে। আমাদের লিখিত হুমকিও দেওয়া হয়েছে, কিন্তু আমরা জাতীয় স্বার্থ জলাঞ্জলি দেব না। ’

অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে বিরোধীদের তৎপরতার মধ্যে ইমরান খান এ ভাষণ দিলেন। মার্চের আট তারিখ পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে ইমরানের সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিয়েছিলেন বিরোধী দলীয় নেতারা। সাংবিধানিক নিয়মানুসারে ১৪ দিনের মধ্যে অধিবেশন ডাকার কথা থাকলেও তা হয়নি। দুদিন পর গত শুক্রবার অধিবেশন বসে। কিন্তু সদ্য প্রয়াত জাতীয় পরিষদ সদস্য খায়াল জামানকে শ্রদ্ধা জানাতে অনাস্থা প্রস্তাব ভোটে না তুলেই অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করেন স্পিকার। পরে এ নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারের কড়া সমালোচনা করেন বিরোধী দলীয় নেতারা। সূত্র: দ্য ডন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৮ মার্চ, ২০২২)