সিঙ্গারের ৯৪ কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকির ব্যাখ্যা চেয়েছে বিএসইসি
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানি সিঙ্গার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৯৪ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকির যে অভিযোগ রয়েছে তার ব্যাখ্যা চেয়েছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
শো-রুম, ওয়্যারহাউজের তথ্য গোপন ও অবৈধভাবে রেয়াত সুবিধা নিয়ে কোম্পানিটি ভ্যাট ফাঁকি দিচ্ছে বলে প্রমাণ পেয়েছে জাতীয রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ)।এরই ধারাবাহিকতায় সিঙ্গার বাংলাদেশের কাছে উল্লিখিত অভিযোগের বর্তমান অবস্থা ও প্রয়োজনীয় নথিপত্রসহ ব্যাখা চেয়েছে বিএসইসি।
সম্প্রতি সিঙ্গার বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে এ বিষয়ক একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে। একইসঙ্গে বিষয়টি ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই-সিএসই) জানানো হয়েছে।
গত বছরের ৩ ও ৫ নভেম্বর বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে ‘সিঙ্গার বাংলাদেশ' এর ৯৪ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি শিরোনাম সংবাদ প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত সংবাদ থেকে দেখা গেছে যে, সারা দেশে সিঙ্গার বাংলাদেশের ৪২৪টি বিক্রয় কেন্দ্র এবং ১৯টি গুদাম রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ১১০টি বিক্রয় কেন্দ্রের ভ্যাট নিবন্ধন রয়েছে। আর বাদবাকি বিক্রয় কেন্দ্র ও গুদামগুলোর কোনটিরই ভ্যাট নিবন্ধন নেই।
এছাড়া জাতীয় দৈনিকে আরো জানানো হয়েছে, ৩১৪টি সেলস আউটলেট ও ১৯টি গুদাম ভ্যাট কমিশনারেটের কাছে নিবন্ধন না করে সিঙ্গার বাংলাদেশ কর ফাঁকির সুযোগ নিচ্ছে । এছাড়া ভ্যাট কমিশনারেটে নিবন্ধিত না হওয়া স্বত্তেও কোম্পানিটি গুদামের নামে কর রেয়াত নিয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
গত বছরের ২৫ মে বৃহৎ করদাতা ইউনিটের একটি দল সিঙ্গার বাংলাদেশের সাভারের গেন্ডা এলাকার গেন্ডা ওয়্যারহাউস এবং অপর একটি দল ঢাকার ফুলবাড়িয়া ওয়্যারহাউসে অভিযান পরিচালনা করেন। দুটি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন ও তল্লাশি করে বিভিন্ন বাণিজ্যিক ও ভ্যাটসংক্রান্ত দলিলাদি জব্দ করা হয়। এসব দলিলাদি যাচাই করে একই প্রতিষ্ঠানের একাধিক জায়গায় অবৈধ রেয়াত গ্রহণ, বিক্রির বিপরীতের ভ্যাট ফাঁকির চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যায়। পরবর্তীতে ১৪ জুন প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা করে এলটিইউ, যাতে ভ্যাট ফাঁকি ও অবৈধ রেয়াত গ্রহণের পরিমাণ প্রায় ৯৪ কোটি টাকা। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল ও মে-এই চার মাসে বিক্রির বিপরীতে ভ্যাট ও অবৈধ রেয়াত নেওয়ার মাধ্যমে কোম্পানিটি এ ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে সিঙ্গার বাংলাদেশের ভ্যাট ফাঁকির খবর প্রকাশিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতেই কমিশন ব্যাখা চেয়েছে বলে জানান বিএসইসির একজন কর্মকর্তা।
(দ্য রিপোর্ট/ টিআইএম/৩১ মার্চ,২০২২)