দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: নির্ধারিত সময়ের ৩৩ মিনিট পর শুরু হওয়া ডারবান টেস্টের উইকেট টসে'র সিদ্ধান্ত নিতে বাংলাদেশ দলকে ফেলেছে বিভ্রান্তিতে। ক্যারিয়ারের ৫০ তম টেস্টে উইকেটে ঘাস দেখে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুমিনুল।

তবে ঘাসের উইকেট থেকে বল যতোটা বাউন্স পাওয়ার কথা, মুভমেন্ট পাবে বলে ধরে নিয়েছে সবাই, তার ছিটেফোটাও নেই ! বরং এই পিচটা হয়ে উঠেছে ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি। এমন একটি দিনটি পাড়ি দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ২৩৩/৪।

সকালে আকাশে মেঘ দেখে টস জিতলে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কোচিং স্টাফ এবং সিনিয়র ক্রিকেটাররা। প্রথম দিনের খেলা শেষে এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশ দলের হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো-‘ডারবানের গতিময় ও বাউন্স উইকেটে ব্যাটিং নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা ছিল। তবে আমাদের কোচিং প্যানেল ও সিনিয়র খেলোয়াড়রা ব্যাটিংয়ের চেয়ে বোলিং নিতে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। আমরা আমাদের সিদ্ধান্তে বিশ্বাস রেখেছিলাম।’

সাইট স্ত্রিনে নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়ায় নির্ধারিত সময়ের ৩৩ মিনিট পর খেলা শুরু হওয়ায় প্রথম সেশনে দক্ষিণ আফ্রিকা স্বাচ্ছন্দে ব্যাট করতে পেরেছে বলে মনে করছেন ডোমিঙ্গো- ‘দিনের শুরুতে আবহাওয়া মেঘাচ্ছন্ন ছিল। কিন্তু খেলাটা ত্রিশ মিনিটের বেশি পিছিয়ে যায়। আধ ঘন্টা দেরিতে ম্যাচ পিছিয়ে যাওয়ায় মেঘ কেটে গেছে। তাই আমরা ফেভার পাইনি। আমি মনে করি বিদেশি কন্ডিশনে প্রথমে ব্যাটিং নেয়ার ক্ষেত্রে আমাদের কিছুটা আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি আছে।’

সবুজ ঘাসের উইকেটে টেস্টের প্রথম সেশনে যেখানে পেসারদের ভয়ংকর হয়ে ওঠার কথা, সেখানে প্রথম সেশনে বাংলাদেশের তিন পেসার তাসকিন (৯-১-৩১-০),এবাদত (৭-০-৩৯-০) এবং খালেদ (৫-০-১৫-০) ছন্দ খুঁজে পাননি। প্রথম সেশনে বাংলাদেশ বোলারদের নির্বিষ বোলিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৯৫/০।

তবে দ্বিতীয় সেশনে ছন্দ ফিরে পেয়েছেন পেস ত্রয়ী। এই সেশনে স্কোরশিটে ৭৫ রান যোগ করতে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ৩ উইকেট। দিনের শেষ সেশনে সেখানে ৬৮ রানে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ১ উইকেট। সকালের সেশনটা বাদ দিলে বাকি দুটি সেশনে বোলারদের পারফরমেন্সে অবশ্য খুশি ডোমিঙ্গো-‘ আমি মনে করি সকাল ১০টা এবং সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে কিছুটা পার্থক্য আছে। আমরা শুরুটাও ভালো করিনি। প্রথম সেশনে আমাদের বোলিং ছিল সাধারণ মানের। লাঞ্চের পরে দুর্দান্তভাবে ফিরে এসেছিলাম আামরা। আমি মনে করি প্রথম দিনটি দুই দলের জন্যই সমান-সমান। তারা মাত্র ২৩০ (হবে ২৩৩) করতে পেয়েছে। যদি আমরা সকালের সেশন বাদ দেই, তাহলে অন্য দুটি সেশনে আমরা ভাল অবস্থানে ছিলাম।’

দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার রিকেল্টন টস জিতে বাংলাদেশের ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়ায় অবাক হয়েছেন-‘আমি ব্যক্তিগতভাবে বেশ অবাক হয়েছি। ডারবানে আমরা টস জিতলে সাধারণত প্রথমে ব্যাট করি। উইকেট যখন ভাঙ্গতে থাকে তখন টার্ন নেয়। আমরা টস জিতলে প্রথমে ব্যাট করতাম।’

ডারবানে এ ধরণের পিচ দেখে বিভ্রান্তিতে পড়ে টস জিতে বাংলাদেশ ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে করছেন রিকেল্টন-‘ডারবানে এর আগে এই ধরনের পিচ দেখেননি, অনেককে এ ধরনের কথা বলতে শুনেছি। হয়তোবা এটাই তাদেরকে (বাংলাদেশ দলকে) প্রথমে বল করতে ঠেলে দিয়েছে। তারা সম্ভবত তাদের তিনজন সিমার দিয়ে এই পিচ থেকে সর্বোচ্চটা পাওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমরা ব্যাট করতে পেরে খুশি।’

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১ এপ্রিল, ২০২২)