প্রধানমন্ত্রীর উপহারের সেই জমি তিন বছরেও পাননি ফুটবলার আঁখি
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: একাধিকবার গোল্ডেন বুট জয়ী বাংলাদেশের জাতীয় নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড় আঁখি খাতুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া উপহারের জমি ৩ বছরেও বুঝে পায়নি। ফলে জীর্ণ কুটিরে তার বাবা, মা ও স্নাতক পড়ুয়া ভাই মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বৃষ্টি এলে এ ঘরের চালা দিয়ে পানি পড়ে। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পাড়কোলা গ্রামের তাঁত শ্রমিক আক্তার হোসেন ও গৃহিণী নাছিমা খাতুনের ঘরে আঁখির জন্ম ও বেড়ে ওঠা। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর ইব্রাহিম বালিকা বিদ্যালয়ের হয়ে ২০১৪ সালে বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ খেলে সবার নজরে উঠে আসে আঁখি।
২০১৭ সালে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ নারী ফুটবলে বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন করে টুর্নামেন্টে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়ে আঁখি খাতুন পান গোল্ডেন বুট। তার খেলায় আপ্লুত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালে ৫ শতক জায়গা বরাদ্দের ঘোষণা দেন। এ ঘোষণার পর স্থানীয় প্রশাসন শাহজাদপুর পৌরসভার মনিরামপুর এলাকার ৫ শতক জায়গা অবমুক্ত ও নির্ধারণ করে ভূমি মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠান। এর ১৫ দিনের মাথায় শাহজাদপুর বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রবিন আকন্দ এ জায়গার মালিকানা দাবি করে আদালতে মামলা করেন। এ জায়গায় জনতা ব্যাংক তাকে বাড়ি করে দেয়ার ঘোষণাও দেন। কিন্তু মামলাজনিত জটিলতায় আটকে আছে বাড়ি নির্মাণের কাজ। আঁখি খাতুন বর্তমানে বিকেএসপির দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। পাশাপাশি জাতীয় দল, বয়সভিত্তিক দল ও এফসি কাপ অনূর্ধ্ব-১৬ দলেও খেলছেন আঁখি।
আঁখি খাতুনের বাবা আক্তার হোসেন জানান, প্রস্তাবিত জমির বর্তমান মূল্য প্রায় ১ কোটি টাকা। এটা বাদ দিয়ে দ্বাবারিয়ায় যে জমি দেয়ার প্রস্তাব পাঠানো হচ্ছে তার মূল্য মাত্র ১০ লাখ টাকা। তিনি এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন। রবিন আকন্দ বলেন, ওয়ারিশ হিসাবে জমি রক্ষায় আদালতে সুবিচার চেয়ে মামলা করেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. শামসুজ্জোহা বলেন, মামলা জনিত কারণে আরেকটি জমি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এটি অনুমোদন হয়ে এলে জমি বুঝিয়ে দেয়া হবে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৪ এপ্রিল, ২০২২)