দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের টাংনির হাওরের জারুলিয়া খেয়াঘাট সংলগ্ন ফসলরক্ষা বাঁধটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। গ্রামের মসজিদের মাইক থেক আহ্বান জানানো হয় বাঁধে কাজ করার।

বুধবার (৭ মার্চ) বেলা আড়াইটার দিকে বাঁধটি ভেঙে যায়।

কুলঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান একরার হোসেন কৃষকদের নিয়ে বাঁধ যুদ্ধ শুরু করেন। প্রবল বেগে বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে হাওরে পানি প্রবেশ করতে থাকে। কৃষকরা প্রথমে বাঁশ দিয়ে শক্ত বেড়া দিয়ে পরে শুরু হয় বস্তা বর্তি মাটি ফেলা।এতে করে এক সময় পানির শক্তি কমতে থাকে। কৃষকরা সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ভাঙা বাঁধ মেরামত করা হয়।

বাঁধটি ভেঙে যাওয়ায় তলিয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে হাওরের ১ হাজার ৮০০ হেক্টর জমির বোরো ফসল।

কুলঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. একরার হোসেন বলেন, ‘বেলা আড়াইটার দিকে আমি অন্য একটি বাঁধ পরিদর্শনে ছিলাম, তখন খবর পেলাম জারুলিয়া খেয়াঘাট এলাকায় বাঁধ ভেঙে হাওরে পানি ঢুকছে। এর পর স্থানীয় কৃষকদের নিয়ে প্রশাসনের সহযোগিতায় বাঁধটি ভাঙা অংশ আবার বাঁধতে শুরু করি। এতে কৃষকরা সফল হয়েছেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৭ এপ্রিল, ২০২২)