ব্যাখা চেয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা
কেয়া কসমেটিকসের আর্থিক প্রতিবেদনে তথ্যের ঘাটতি
মাহি হাসান, দ্য রিপোর্ট : দেশের পুঁজিবাজারে ফার্মাসিটিক্যাল খাতের কোম্পানি কেয়া কসমেটিকস লিমিটেড। কোম্পানিটির প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনে কিছু তথ্যের ঘাটতি সম্পর্কে ব্যাখা চেয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ আ্যন্ড কমিশন( বিএসইসি)।
বিএসইসির একজন কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত চিঠিতে আর্থিক প্রতিবেদনের কিছু বিষয় জানতে চেয়ে কেয়া কসমেটিকসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর চিঠি ইস্যু করা হয়েছে।
২০১৮,২০১৯ এবং ২০২০ সালের কোম্পানির ভ্যাট রিটার্ন এবং রপ্তানি প্রক্রিয়া আদায় সংক্রান্ত সার্টিফিকেটের সম্পর্কে জানতে চেয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
এছাড়া কোম্পানির পাওনা অর্থের পরিমাণ নিয়ে পরিস্কার ব্যাখা চেয়েছে বিএসইসি। পাশাপাশি ২০১৮,২০১৯এবং ২০২০সালের মজুদ মালের যথাযথ হিসাব চাওয়া হয়েছে ।
২০১৮ থেকে ২০২০ সালের পর্যন্ত সন্দেহজনক দেনার ব্যাপারে জানতে চেয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। পাশাপাশি সন্দেহজনক পাওনা সঞ্চিতির বিষয়ে পরিস্কার ব্যাখা দাবি করেছে বিএসইসি।
এছাড়া, কেয়া কসমেটিকস লিমিটেডের অন্যান্য তিন প্রতিষ্ঠান কেয়া স্পিনিং মিলস,কেয়া কটন লিমিটেড এবং কেয়া নিট কম্পোজিট লিমিটেডের সম্পদ,দেনা এবং মূলধনের ব্যাপারে যথাযথ ব্যাখা চেয়েছে সিকিউরিটিজ আ্যন্ড একচেঞ্জ কমিশন।
সিকিউরিটিজ আ্যন্ড একচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯ এর ১১(২) ধারা অনুযায়ী উপরোক্ত বিষয়ে যথাযথ ব্যাখা চেয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ আ্যন্ড একচেঞ্জ কমিশন।
এ ব্যাপারে কথা বলতে কেয়া কসমেটিকস লিমিটেডের কোম্পানি সেক্রেটারি মোহাম্মদ নুর হোসেন বলেন আজ (রোববার) তারা চিঠিটি মেইলের মাধ্যমে পেয়েছেন। খুব দ্রুতই বিএসইসি চাওয়া ডকুমেন্টগুলো পাঠানো হবে।
কেয়া কসমেটিকস লিমিটেড পুজিবাজরে তালিকাভুক্ত হয় ২০০১সালে। এ পর্যন্ত কোম্পানিটি নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করছে মাত্র একবার, ২০২০ সালে, যার পরিমাণ ১ শতাংশ। কোম্পানিটি ১ হাজার ১০২ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন নিয়ে পুঁজিবাজারে এসেছিল।
রোববার সপ্তাহের প্রথমদিন কোম্পনিটির শেয়ারের সর্বশেষ দাম রেকর্ড করা হয় ৭ টাকা ৭০ পয়সা। এদিন সর্বমোট ৮৩৭ কোটি টাকার শেয়ার ৩১৫ বার হাতবদল হয়।
ফার্মাসিটিক্যাল ও ক্যামিকাল খাতের এই কোম্পানিটির পরিচালকদের শেয়ার রয়েছে ৪৬ দশমিক ২৭ শতাংশ। প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার রয়েছে ৮ দশমিক ৭০ শতাংশ। এছাড়া সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার সংখ্যা ৪৫ দশমিক ০৩ শতাংশ। সরকারি এবং বিদেশী কোন বিনিয়োগ নেই কোম্পানিটিতে।
দ্য রিপোর্ট/ টিআইএম/ মা হা/১০ এপ্রিল,২০২২)