দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্রীদের মারধরের অভিযোগ নিয়ে উত্তেজনার ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

আজ রোববার বিকেলে জিডিটি করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ধরণি কান্ত বর্মণ। আজ সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মহাদেবপুর থানার ওসি আজম উদ্দিন মাহমুদ।

ওসি আজম উদ্দিন মাহমুদ জানান, গত ৭ এপ্রিল বিদ্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর থেকেই ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এ ছাড়া কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য বাড়তি নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে।

জিডির বিষয়ে ওসি বলেন, ঘটনার চার দিন পর প্রধান শিক্ষক ধরণি কান্ত জিডি করেছেন। ডায়েরিতে অজ্ঞাতনামা দেড় শ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। জিডিতে ধরণি কান্ত লিখেছেন, ‘বিদ্যালয়ের একটি তুচ্ছ ঘটনায় গুজব ছড়িয়ে ৭ এপ্রিল বিদ্যালয়ে হামলা চালানো হয়। স্কুলের আশপাশের গ্রামের বহু মানুষ হামলা করে চেয়ার-টেবিলসহ ব্যাপক ভাঙচুর করে।’

এদিকে প্রধান শিক্ষক ধরণি কান্ত নিজেকে বাঁচাতে দায়সারা জিডি করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক সাহাদত হোসেন রতন। তিনি বলেন, ‘বিদ্যালয়ের অনিয়ম দুর্নীতি ও এসব দ্বন্দ্বের নায়ক ধরণি কান্ত।’ স্কুলড্রেস না পড়ায় কিছু শিক্ষার্থীকে শাসন কারার পর সৃষ্ট হিজাব বিতর্কের জন্যও প্রধান শিক্ষককেই দায়ী করেন তিনি।

শিক্ষক সাহাদত বলেন, ‘নিজেকে বাঁচাতে তিনি (ধরণি কান্ত) নামমাত্র সাধারণ ডায়েরি করে দায় সারছেন।’

ঘটনার চার দিন পর জিডি করার কারণ জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক ধরণি কান্ত বলেন, ‘এদিকে নানা ঝামেলায় ব্যস্ত ছিলাম, স্কুলে অনেক তদন্ত আসতেছে, সাংবাদিকেরা আসতেছে এ জন্য সময় পাইনি। পরে ইউএনও স্যারের সঙ্গে কথা বলে আজ থানায় জিডি করেছি।’

ধরণি কান্ত বলেন, ‘জিডিতে বিদ্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে, এখানে শিক্ষকদের সঙ্গে কোনো সমস্যা হয়নি—এসব বিষয়ই উল্লেখ করা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল বারবারাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আমোদিনী পালের বিরুদ্ধে স্কুল ড্রেস না পরায় মারধর করার অভিযোগ ওঠে। পরে একটি মহল হিজাব পরায় ছাত্রীদের মারধর করা হয়েছে বলে গুজব ছড়ায়। এরপর বিদ্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১১ এপ্রিল, ২০২২)