রুশ সৈন্যদের বিরুদ্ধে ধর্ষণকে যুদ্ধ অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: জাতিসংঘের লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতা বিষয়ক সংস্থা ইউএন উইমেনের নির্বাহী পরিচালক সিমা বাহাউস বলেছেন, ইউক্রেনে ক্রমবর্ধমানভাবে ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ধর্ষণ ছাড়াও তরুণী এবং বিশেষ করে সঙ্গীহীন কিশোর-কিশোরীদের জন্য মানব পাচারের ঝুঁকিও একটি ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ইউক্রেনের মানবাধিকার গোষ্ঠী লা স্ট্রাডা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট কাতেরিনা চেরেপাখাও রাশিয়ার সেনাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগ করেছেন।
তিনি বলেন, আমার সংস্থার জরুরি হটলাইনগুলি ১২ জন নারী ও তরুণীর ধর্ষণের নয়টি মামলার জন্য রাশিয়ান সৈন্যদের অভিযুক্ত করে কল পেয়েছে।
বাহাউস জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, ভাড়াটে ও নিজস্ব সৈন্যদের ব্যাপক উপস্থিতির কারণে ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিকদের ওপর বর্বরতার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
অন্যদিকে ইউক্রেন রাশিয়ান যুদ্ধাপরাধের ৫ হাজার ৮০০ ঘটনা তদন্ত করছে বলে জানিয়েছে।
ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেল ইরিনা ভেনেডিক্টোভা স্থানীয় সময় সোমবার সিএনএনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, আমার কার্যালয় প্রতিদিন এরকম আরও রাশিয়ান যুদ্ধাপরাধের ঘটনা তদন্ত করছে।
ইরিনা ভেনেডিক্টোভা বলেন, ইউক্রেন তদন্তে ৫০০ জনেরও বেশি সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে রাশিয়ান রাজনীতিবিদ, সামরিক কর্মী এবং প্রোপাগান্ডা এজেন্ট।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের ইউক্রেনের আদালতে এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে চাই।’
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১২ এপ্রিল, ২০২২)