শ্রীলঙ্কায় অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রস্তাব
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার ক্ষমতাসীন জোট থেকে বেরিয়ে আসা তিনটি দল প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের ভাইয়ের জায়গায় নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়ে অন্তর্র্বতী সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে। সোমবার (১১ এপ্রিল) তারা এ প্রস্তাব দেন।
আমদানির জন্য অর্থের অভাবে ২২ মিলিয়ন জনসংখ্যার দ্বীপরাষ্ট্রটি বিদ্যুৎ, জ্বালানি, খাদ্য এবং ওষুধের সংকটে ভুগছে। দেশটি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এবং ভারত ও চীনের মতো দেশগুলোর কাছে জরুরি আর্থিক সহায়তা চেয়েছে।
গত সপ্তাহে রাজাপাকসে তার মন্ত্রিসভা ভেঙে দিয়েছেন এবং সংকট মোকাবিলায় সহায়তা করার জন্য জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন। ২২৫ আসনের সংসদে ৪১ জন আইনপ্রণেতা ক্ষমতাসীন জোট থেকে বের হয়ে স্বতন্ত্র বলে ঘোষণা দেন। সরকার বলছে, ওই আইনপ্রণেতারা জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে।
১৬ জন আইনপ্রণেতার তিনটি দল সাংবাদিকদের বলেন, তারা প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং মঙ্গলবার আরও আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
জাথিকা হেলা উরুমায়া দলের প্রধান উদয় গাম্মানপিলা বলেন, মূল প্রস্তাবটি হলো-গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একটি সর্বদলীয় কমিটি, নতুন প্রধানমন্ত্রী এবং একটি সীমিত মন্ত্রিসভা গঠনের। আমরা নতুন নির্বাচনের আগে এটা করতে চাই। আমাদের রিজার্ভের ঘাটতি দূর করতে হবে এবং অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে হবে।
২০২৫ সালে শ্রীলঙ্কার পরবর্তী সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
১৪ জন আইনপ্রণেতা নিয়ে শ্রীলঙ্কা ফ্রিডম পার্টি (এসএলএফপি) জানায়, স্বতন্ত্ররা ঐক্যমতে আসার জন্য অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলবেন। যেহেতু সরকার আগামী সপ্তাহে আইএমএফের সঙ্গে ঋণ নিয়ে আলোচনা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এসএলএফপির মহাসচিব দয়াসিরি জয়সেকেরা বলেন, আইএমএফের সঙ্গে আলোচনার জন্য একটি স্থিতিশীল সরকার প্রয়োজন, যা স্পষ্ট নীতি বাস্তবায়নে সক্ষম হবে। অর্থনীতি মেরামত এবং জনগণকে স্বস্তি দিতে এটি করা প্রয়োজন।
রাজাপাকসে পরিবার ও সরকারের বিরুদ্ধে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে রাজপথে বিক্ষোভ করছে শ্রীলঙ্কানরা। প্রেসিডেন্ট ইতোমধ্যে তার ভাই বাসিল রাজাপাকসেকে অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে বাদ দিয়েছেন। এছাড়া তার ভাগ্নে গত সোমবার মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে ক্রীড়ামন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
জরুরি জিনিসপত্র সরবরাহ ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের জন্য দেশটির সরকার এখন আগামী ছয় মাসে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলারের বিদেশি সহায়তা খুঁজছে।
খবর রয়টার্স
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১২ এপ্রিল, ২০২২)