দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ক্রমেই জমে উঠছে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ ও তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মেরি লো পেনের মধ্যকার লড়াইয়ে ক্রমশ পার্থক্য কমিয়ে আনছেন পেন। এবং প্রথম রাউন্ড ভোটে এগিয়ে থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেও মাখোঁ বেশ শক্ত প্রতিরোধের মুখে পড়েছেন। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এবং ফরাসি সংবাদমাধ্যম ফ্রান্স টোয়েন্টিফোরের পৃথক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফরাসি প্রতিষ্ঠান লেস ইকোস এবং রেডিও ক্ল্যাসিক পরিচালিত মঙ্গলবারের এক জরিপ থেকে দেখা যায়—ফ্রান্সের অতি-ডানপন্থী প্রার্থী মেরি লে পেন দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় রাউন্ডের আগে মাখোঁর সঙ্গে ব্যবধান ক্রমশ কমিয়ে আনছেন। একই সঙ্গে জরিপটিতে এই পূর্বাভাসও দেওয়া হয় যে—নির্বাচন কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি আরও হ্রাস পাচ্ছে।

জরিপে বলা হয়, লো পেন ব্যবধান অনেক কমিয়ে আনলেও মাখোঁ প্রায় ৫৪ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে জিতবেন।

এদিকে, দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হওয়ার লড়াইয়ে প্রত্যাশার চেয়ে বেশ কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি হয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট মাখোঁ। তবে ভোটারদের ঝাঁজালো প্রশ্ন এবং মন্তব্যে তিনি ক্ষুব্ধ না হয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলছেন এমনকি কখনো কখনো দ্বন্দ্বমূলক বিতর্কেও জড়িয়ে পড়ছেন।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার, ফ্রান্সের পূর্বাঞ্চলীয় শহর মুলহাউসে নির্বাচনী প্রচার চালানোর সময় মাখোঁকে বেশ কিছু কঠিন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়—‘কেন আপনি দরিদ্রদের সাহায্য করেননি?’ , ‘কেন হাসপাতালগুলো শয্যা ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ঘাটতিতে ভুগছে?’ , ‘কোন যুক্তিকে বিশাল সংখ্যক তরুণ যুবাকে বেকার রেখে চাকরি থেকে অবসরের বয়স ৬২ থেকে বাড়িয়ে ৬৫ বছরে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব করতে পারেন?’

এসব প্রশ্নের মুখে ৪৪ বছর বয়েসি ফারসি প্রেসিডেন্ট ধৈর্য ধরে এসব বিষয়ে তাঁর সরকাররে নীতি এবং পরিকল্পনা ব্যাখ্যা করেন। তবে কখনো কখনো লোকজন ক্রমশ তাঁর বিরোধিতা করতে থাকলে তিনি বেশ খানিকটা অধৈর্য হয়ে ওঠেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৩ এপ্রিল, ২০২২)