দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: সারা বিশ্বে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মানুষ। আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এসেছে সাড়ে ৯ লাখের নিচে।

শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) সকালে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩ হাজার ৩৬৬ জন।

অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে ছয় শতাধিক। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬২ লাখ ১৭ হাজার ৪৪০ জনে।

একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৯২৩ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ৪১ হাজারের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ কোটি ২৮ লাখ ৩২ হাজার ৮৪১ জনে।

একদিনে বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জার্মানিতে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬০ হাজার ৯১৪ জন এবং মারা গেছেন ৩০৯ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৩২ লাখ ৭৭ হাজার ৩১৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৩৩ হাজার ২১৫ জন মারা গেছেন।

অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ হাজার ৪৩৬ জন এবং মারা গেছেন ৩৬১ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ২২ লাখ ৫২ হাজার ৯৬৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ১৪ হাজার ৯০২ জন মারা গেছেন।

দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৪৮ হাজার ৪১৭ জন এবং মারা গেছেন ৩১৮ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৫৯ লাখ ৭৯ হাজার ৬১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ২০ হাজার ৩৫২ জন মারা গেছেন।

রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৫৪ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১১ হাজার ৩৪৮ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৮০ লাখ ৪১ হাজার ৯২৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৭২ হাজার ৭৬৬ জনের।

লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৪৫ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ২৩ হাজার ১৭১ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ২ লাখ ৩৪ হাজার ২৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৬১ হাজার ৮৫৫ জনের।

করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৮৭৭ জন। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪ কোটি ৩০ লাখ ৩৯ হাজার ৯০০ জন এবং মারা গেছেন ৫ লাখ ২১ হাজার ৭৭২ জন।

তুরস্কে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ১২৭ জন এবং মারা গেছেন ২১ জন। একই সময়ে ইতালিতে নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৪ হাজার ৯৫১ জন এবং মারা গেছেন ১৪৯ জন। ইন্দোনেশিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৩৩ জন এবং মারা গেছেন ৪৮ জন।

গত একদিনে ফ্রান্সে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৩৭ হাজার ৩৪২ জন এবং মারা গেছেন ১৩৩ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৭৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৯৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৪৩ হাজার ৯১০ জন মারা গেছেন। গত একদিনে জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৬ হাজার ৭০৪ জন এবং মারা গেছেন ৬০ জন।

যুক্তরাজ্যে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ৯৫০ জন এবং মারা গেছেন ৩৫০ জন। ভিয়েতনামে নতুন করে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ হাজার ১২ জন এবং মারা গেছেন ২৩ জন। গত একদিনে পোল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ১৮৬ জন এবং মারা গেছেন ৩৯ জন।

এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ফিনল্যান্ডে ১৮৩ জন, হংকংয়ে ৫৪ জন, ফিলিপাইনে ৪১ জন, কানাডায় ১২৩ জন, ইরানে ৩৩ জন, গ্রিসে ৬২ জন, চিলিতে ৬৯ জন এবং থাইল্যান্ডে ১১৫ জন মারা গেছেন। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মেক্সিকোতে মারা গেছেন ৪৩ জন। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত উত্তর আমেরিকার এই দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ২৩ হাজার ৮৪৮ জনের।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৫ এপ্রিল, ২০২২)