দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: র‌্যাগ ডের নামে বুলিং, নগ্নতা, অপসংস্কৃতি ৩০ দিনের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আজ রবিবার বিচারপতি মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

হাইকোর্ট জানান, যেভাবে র‌্যাগ ডে পালন হওয়ার কথা, সেভাবে হচ্ছে না। কিছু বিশৃঙ্খল শিক্ষার্থীরা অপসংস্কৃতির চর্চা করছে উল্লেখ করে, বিব্রতবোধ করে হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে শিক্ষা সচিব, তথ্যসচিব, সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ইউজিসির চেয়ারম্যানকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে গত ৭ এপ্রিল শিক্ষা সমাপনী উৎসবের (র‌্যাগ ডে) নামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজে পার্টি, উদ্যাম নৃত্য, বুলিং, অশ্লীলতা ও নগ্নতা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ কামরুল হাসান।

রিটে র‌্যাগ ডের নামে অশ্লীলতা বন্ধে নির্দেশনার পাশাপাশি দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজে পার্টি, বুলিং অপসংস্কৃতি ও অশ্লীলতা রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।

রিটে শিক্ষা সচিব, তথ্য সচিব, সংস্কৃতি সচিব, বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, পুলিশ প্রধান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের মহাপরিচালককে বিবাদী করা হয়।

সে সময় রিটকারী আইনজীবী মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, সম্প্রতি র‌্যাগ ডের নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে ধরনের কু-রুচিপূর্ণ, অশ্লীল ও ডিজে পার্টির আয়োজন করা হয়, এগুলোর স্থির চিত্র ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের নৈতিক জীবন মান নষ্ট হচ্ছে।

তিনি বলেন, যেখানে শিক্ষার্থীদের নৈতিক মূল্যবোধে সমৃদ্ধি হওয়ার কথা সেখানে আজ সেই শিক্ষা প্রশাসকদের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং তাদের উপস্থিতিতে চরম নৈতিক অবক্ষয়মূলক কার্যকলাপ চলছে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজের অজান্তে নৈতিক অধঃপতনে নিমজ্জিত হচ্ছে।

কামরুল হাসান আরও বলেন, যেহেতু দেশের মোট জনসংখ্যার ৭০ ভাগ শিশু কিশোর ও তরুণ এবং দেশের আগামী ভবিষ্যৎ, সেহেতু আমাদের আগামী প্রজন্মকে এ ধরনের অপসংস্কৃতির হাত থেকে রক্ষার জন্য র‌্যাগ ডের নামে অশ্লীলতা, ডিজে পার্টি ও নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়মূলক এসব কার্যক্রম সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্ধ করা প্রয়োজন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৭ এপ্রিল, ২০২২)