ম্যাক্রোঁকে রুশ ‘গণহত্যা’ স্বচক্ষে দেখার আমন্ত্রণ জেলেনস্কির
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ইউক্রেনে প্রায় দুই মাস ধরে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। একসঙ্গে তিন দিক দিয়ে চালানো এই অভিযানে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পড়েছে বৃষ্টির মতো। রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে গণহত্যা চালানোরও। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্বয়ং এ বিষয়ে মন্তব্য করলেও ‘গণহত্যা’ শব্দটি নিয়ে দ্বিমত ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর।
এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর চালানো ‘গণহত্যা’ স্বচক্ষে দেখতে ফরাসি প্রেসিডেন্টকে ইউক্রেন সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সোমবার (১৮ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়ার বাহিনী যে ‘গণহত্যা’ করেছে তা স্বচক্ষে দেখতে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে তিনি ইউক্রেন সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
এর আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে ‘গণহত্যা’ চালানোর অভিযোগ তুলেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গত মঙ্গলবার মার্কিন অভ্যন্তরীণ বাজারে জ্বালানির মূল্য নিয়ে আইওয়া অঙ্গরাজ্যে বক্তব্য দেওয়ার সময় বাইডেন বলেন, ইউক্রেনে গণহত্যা চালাচ্ছেন রুশ এই ‘একনায়ক’ প্রেসিডেন্ট।
নিজের ওই মন্তব্যের পর প্রেসিডেন্ট বাইডেন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, (ইউক্রেনে) গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে কি না তা নির্ধারণ আইনজীবীদের ওপর নির্ভর করবে। তার ভাষায়, ‘এটি অবশ্যই আমার কাছে গণহত্যা বলে মনে হচ্ছে।’
অবশ্য প্রেসিডেন্ট বাইডেনের এই মন্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ‘গণহত্যা’ শব্দটি ব্যবহার করতে অনিচ্ছুক ম্যাক্রোঁর মতে, বাগাড়ম্বর এই উক্তির কারণে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেতে পারে। আর তাই ইউক্রেন ইস্যুতে মন্তব্য করার ক্ষেত্রে জো বাইডেনের আরও সতর্ক হওয়া উচিত বলেও জানিয়েছিলেন ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
এই পরিস্থিতিতে সোমবার সিএনএন’র সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘যখনই সুযোগ পাওয়া যাবে তখনই তাকে (ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ) ইউক্রেন সফরে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তিনি এসে দেখবেন এবং আমি নিশ্চিত তিনি তখন বুঝতে পারবেন।’
জেলেনস্কি এর আগে বলেছিলেন যে, ‘গণহত্যা’ শব্দটি ব্যবহারে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর অনিচ্ছা ‘আমাদের জন্য খুব বেদনাদায়ক’।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৮ এপ্রিল, ২০২২)