দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ঈদের আগে ও পরে  তিনদিন তিনদিন করে মোট ৭ দিন পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে পণ্যবাহি ট্রাক চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়ে রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক।

সোমবার ( ১৮ এপ্রিল ) সকালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আসন্ন ঈদুল-ফিতর উপলক্ষে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ঘাটের সুষ্টু ব্যবস্থাপনা ও যাত্রী সাধারণের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে এক সমন্বয় সভায় তিনি এ সিদ্ধান্ত জানান।

রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান বলেন, দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে স্বাভাবিক সময়ে হাজার হাজার যানবাহন পারাপার করা হলেও ঈদে তা বেরে দাড়ায় কয়েক গুনে। আর এ বছর শিমুলিয়া কাঠালবাড়ি নৌরুটে পদ্মা সেতুর নিরাপত্তার কথা ভেবে রাতের বেলায় বন্ধ থাকতে পারে ফেরি। যে কারণে এই নৌরুটে বাড়তি চাপ পরবে বলে জানান ঘাট তিনি। বাড়তি চাপ সামাল দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি থাকবে বলে আশা করেন তিনি। এছাড়াও ঈদের আগে ৩ দিন, ঈদের দিন ও ঈদের পরে ৩ দিন পন্যবাহি ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকবে। শুধু যাত্রিবাহি যানবাহনের সাথে পচনশীল পন্যবাহি ট্রাক পারাপার করা হবে।

ঈদযাত্রায় ভোগান্তি কমাতে ও স্বস্তিদায়ক ঈদযাত্রা উপহার দিতে প্রস্তুতি চলছে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে। ফেরি বাড়ানোর পাশাপাশি ঘাট মেরামতের কাজ করছে বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। এমনকি ঘাট এলাকায় যাত্রি হয়রানি ও চাদাবাজি বন্ধে সকলকে নীজ নীজ দ্বায়িত্ব পালনের আহব্বান জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন।

সভায় বিআইডল্বিউটিসির ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) প্রফুল্ল চৌহান বলেন, বর্তমানে এই নৌরুটে ১৯ টি ফেরি চলাচল করছে। ঈদ উপলক্ষে এক সপ্তাহের মধ্যে বহরে আরো ২ টি ফেরি যুক্ত হবে। ২১ টি ফেরি নিয়মিতভাবে চলাচল করলে পারাপারে তেমন একটা ভোগান্তি থাকবে না।


আরিচা নৌ বন্দরের পোর্ট অফিসার মোঃ শাহ আলম মিয়া বলেন,দৌলতদিয়া পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া কাজির হাট নৌরুটে চলবে ৩৪ টি লঞ্চ ও ৬৫ টি স্প্রীড বোর্ড। যাত্রি পারাপার করায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে দৌলতদিয়ায় ৫ টি ও পাটুরিয়ায় ৫ টি ফেরি ঘাট।

রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( অপরাধ ও প্রশাসন ) মোঃ সালাহউদ্দিন বলেন, ঘাট এলাকায় চাদাবাজি বন্ধে পোশাকে ও সিভিল ড্রেসে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। অন্ধকার এলাকাগুলোতে লাইটিং করা ও ফেরি সঠিকভাবে পরিচালিত হলে ঈদযাত্রায় কোন ভোগান্তি হবেনা বলেও জানান তিনি।

আর রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী বলেন, দৌলতদিয়া ঘাটটি যেহেতু রাজবাড়ীতে অবস্থিত তাই এই ঘাটের ভালো মন্দ আমাদের সাথে জরিত। ঘাটে কোন প্রকার অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না। ঘাটের সাথে জরিত বিআইডব্লিউটিসি বিআইডব্লিউটি’এ, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, জেলা প্রশাসন পুলিশ প্রশাসন সকলে মিলে সমন্বয় করে কাজ করলে ঘাটে বিশৃঙ্খলা থাকবে না। এতে আমাদের জেলার মান বাড়বে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৮ এপ্রিল, ২০২২)