আইপিওর অর্থ ব্যবহারের সংশোধনীতে মীর আক্তারের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়াই প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থের ব্যবহারে সংশোধন এনেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি মীর আখতার হোসেন । তাই আইপিওর অর্থের ব্যবহার সংশোধনের সম্মতি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
সম্প্রতি মীর আখতার হোসেনের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে এ বিষয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এ চিঠি জারির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রয়োজনীয় নথিপত্রগুলো কমিশনে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো।
নথিপত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে- আইপিওর অর্থের ব্যবহার সংশোধন সংক্রান্ত পরিচালনা পর্ষদ সভার কার্যবিবরণী, বিশেষ সাধারণ সভার (ইজিএম) কার্যবিবরণী, আইপিও সম্মতি পত্রের অনুলিপি,স্টক এক্সচেঞ্জে প্রকাশ হওয়া মূল্য সংবেদনশীল তথ্যের (পিএসআই) অনুলিপি এবং দৈনিক সংবাদপত্র প্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্যের অনুলিপি ।
প্রসঙ্গত, কোম্পানিটি আইপিওতে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ১২৫ কোটি টাকা সংগ্রহের জন্য ২ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৪৭টি শেয়ার ইস্যু করে। এর মধ্যে ১ কোটি ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৭৪৭টি সাধারণ শেয়ার ৫৪ টাকা করে ইস্যুর মাধ্যমে কোম্পানিটি শেয়ারবাজার থেকে ৫৬ কোটি ৮ লাখ ৩৩ হাজার ২০০ টাকা সংগ্রহ করে। আর বাকী ১ কোটি ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৮০০টি শেয়ার যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কাছে নিলামের মাধ্যমে ৬০ টাকা করে ৬২ কোটি ৩১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা সংগ্রহ করে। কোম্পানির সংগৃহিত ১২৫ কোটি টাকা দিয়ে কোম্পানিটি সরঞ্জামাদি ও যন্ত্রপাতি ক্রয়সহ ব্যবসায় সম্প্রসারণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করার বিষয়ে বলা হয়েছিল। বর্তমানের কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১২০ কোটি ৭৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১২ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৪৭টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকের হাতে ৪৮.৫৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ৪.৫৪ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৪৬.৮৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএসইসির একজন কর্মকর্তা জানান, কোম্পানিটির আইপিওর অর্থের ব্যবহার সংশোধনের সম্মতি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথিপত্র কমিশনে জমা দেয়নি। ফলে তাদের কাছে আইপিওর অর্থের ব্যবহার সংশোধনের সম্মতি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথিপত্র চাওয়া হয়েছে।
(দ্য রিপোর্ট/ টিআইএম/১৮ এপ্রিল,২০২২)