দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ‘আমার ছেলে কাজের জন্য গেছে, ওতো কারো পক্ষে মারামারি করতে যায় নাই। ওরে কেন মারলো? এখন আমি কার নামে মামলা করুম, কার কাছে বিচার চামু। এই দুঃখ কষ্ট কারে বলুম আমি।’

বুধবার (২০ এপ্রিল) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আবেগাপ্লুত হয়ে এসব কথাই বলেন নিহত নাহিদের বাবা নাদিম।

তিনি আরো বলেন, গরীব মানুষ আমরা, ক্লাশ ফাইব পর্যন্ত পড়ছে নাহিদ। ৮-৯ বছর আগে কিছুদিন নিউমার্কেটের নিউ সুপার মার্কেটে কাজ করেছে। এরপর থেকে সে বিভিন্ন দোকানে কাজ করে আসছিল। সবশেষ অ্যালিফেন্ট রোডে কাজ করত সে।

প্রেমের সম্পর্ক ছিল নাহিদ ও ডালিয়ার। সম্পর্কটি চিরস্থায়ী করতে ছয় মাস আগে তারা বিয়ে করেন। সুখেই কাটছিল তাদের দিন। মাত্র ছয় মাসের মাথায় বিধবা হলেন ডালিয়া। মঙ্গলবার থেকে স্বামী নাহিদের ছবি দেখে দেখে কান্না করেই যাচ্ছেন স্ত্রী ডালিয়া।

ডালিয়া বলেন, কর্মস্থলে গিয়েছিল আমার স্বামী তাহলে কেন তাকে মেরে ফেলা হলো?

মঙ্গলবার ১০টার দিকে কামরাঙ্গীরচর দেওয়ান বাড়ি এলাকার বাসা থেকে বেরিয়ে কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে যান নাহিদ। পরে নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের সময় তিনি আহত হন। শুভ নামে এক পথচারী তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করান। পরে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাহিদ মঙ্গলবার রাতে তিনি মারা যান।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২০ এপ্রিল, ২০২২)