ঢাকা কলেজে ডিবি-র্যাবের অভিযান, আটক ১
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ঢাকা কলেজে অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) গোয়েন্দা দল। আজ রবিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেল ৫টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত কলেজের আন্তর্জাতিক ছাত্রাবাসের ১০১ নম্বর কক্ষে অভিযান চালায় তারা। অভিযানে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষে নাহিদ নিহতের ঘটনায় শনাক্ত ইমন এই কক্ষে থাকতেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ডিবি পুলিশ ও র্যাবের অভিযান শেষে দুটি মোবাইল সেট জব্দ ও জহির হাসান জুয়েল নামের এক শিক্ষার্থীকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়। আটক জুয়েল ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সর্বশেষ আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রভাষক মো. কামরুজ্জামান বলেন, আমি শুনেছি ছাত্রাবাসে ডিবি ও র্যাব সদস্যরা এসেছিলেন। এসময় দুটি মোবাইল ফোনসেট জব্দ করা হয়েছে। তবে কোনো শিক্ষার্থীকে নেওয়া হয়েছে কি না সে সম্পর্কে জানি না।
গত ১৮ এপ্রিল রাত ১২টার দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা চলে এ সংঘর্ষ। এরপর রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেও মঙ্গলবার সকাল ১০টার পর থেকে ফের দফায় দফায় শুরু হয় সংঘর্ষ। যা চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অর্ধ শতাধিক আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। এছাড়াও সংঘর্ষের এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তাদের একজন ডেলিভারিম্যান, অন্যজন দোকান কর্মচারী।
নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করেছে। একটি মামলা বিস্ফোরক আইনে এবং অন্যটি পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে করা হয়েছে। দুই মামলাতে নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী, কর্মচারী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীসহ মোট ১২০০ জনকে আসামি করা হয়।
এছাড়াও সংঘর্ষে নিহত নাহিদের বাবা মো. নাদিম হোসেন বাদী হয়ে নিউমার্কেট থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় তিনি অজ্ঞাতনামা আসামি উল্লেখ করেন। এই তিন মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে প্রায় এক হাজার ৪০০ জনকে। তবে তিনটি মামলার মধ্যে শুধু একটিতেই এক বিএনপি নেতাসহ ২৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এই মামলাটির বাদী পুলিশ।
ডেলিভ্যারিম্যান নাহিদ হাসানের মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলার তদন্তভার পেয়ছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।সংঘর্ষের ঘটনায় চারটি মামলার মধ্যে দুটি হত্যা মামলা। অন্য দুটি মামলা করেছে পুলিশ বাদী হয়ে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৫ এপ্রিল, ২০২২)