দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: মাত্র ৫ মিনিটের ঝড়ে  লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে পার্বতীপুরের ৯টি গ্রাম। ঝড়ে ভেঙে পড়েছে কাঁচা পাকা ঘর। উড়ে গেছে ঘরের চালা। উপড়ে পড়েছে হাজার হাজার গাছ। ভেঙে পড়েছে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। আর ঝড়ে ঘরের দেয়াল চাপা পড়ে উম্মে কুলসুম (১৩) নামের ষষ্ঠ শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রী নিহত হয়েছে। এছাড়া ঝড়ে বিভিন্নভাবে আহত হয়েছেন নারী-শিশুসহ কমপক্ষে অর্ধশত মানুষ।

মঙ্গলবার রাত সোয়া ৯টার দিকে উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের উপর দিয়ে ঝড়টি বয়ে যায়।

নিহত কুলসুম ইউনিয়নের মুন্সীপাড়া গ্রামের শওকত আলীর মেয়ে। সে স্থানীয় গুড়গুড়ি বাহারুল উলুম দাখিল মাদরাসার ছাত্রী।

বুধবার সকাল ৮ টায় ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলো পরিদর্শনে করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেকমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান।

এদিকে ঝড়ের পরপরই পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। হরিরামপুর ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহাম্মদ ইসমাঈল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রিতম সাহা ও ওসি ইমাম জাফর। এ সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মোজাহেদুল ইসলাম সোহাগ।

জানা যায়, রাত সোয়া ৯ টার দিকে পার্বতীপুর উপজেলায় আঘাত হানে ঝড়টি। ঝড়ের সঙ্গে মাঝারি আকারের শিলাও পড়েছে। ঝড়টি রামপুর, হামিদপুর ইউনিয়নের উপর দিয়ে গিয়ে হরিরামপুর ইউনিয়নে ব্যাপক আঘাত হানে। এতে এই ইউনিয়নের মুন্সীপাড়া, শুকুরডাঙ্গা, পলিপাড়া, শোহরকাঠি, মন্ডলপাড়া, শাহাপাড়া, মাঝাপাড়া লালকুঠি গ্রামের পাঁচ শতাধিক রাড়ি বিধ্বস্ত হয়।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৭ এপ্রিল, ২০২২)