দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষার সুযোগ বন্ধ ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ক্লাসে যেতে বাধা দেয়ার খবরটি মিথ্যা। বৃহস্পতিবার (৫ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এতে বলা হয়, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিক/রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষার সুযোগের ব্যাপারে মিথ্যা তথ্য গভীর উদ্বেগের বিষয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষকদের সম্পৃক্ততা গতিশীল এবং রোহিঙ্গাদের দক্ষতা বাড়ানোর নীতি গ্রহণ করে মিয়ানমার কারিকুলামের আওতায় শিক্ষার সুযোগ বাড়াতে জাতিসংঘের সঙ্গে কাজ করছে সরকার।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার সবার জন্য, বিশেষত নারী শিক্ষা নিশ্চিত করাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। একইভাবে রোহিঙ্গা শিবিরে শিশুদের জন্যও শিক্ষার সুযোগ অবারিত রেখেছে।

তাতে বলা হয়, রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষার সুযোগ বন্ধ হওয়া এবং শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের ক্লাসে যোগদানে বাধাদানের খবরটি মিথ্যা।

মন্ত্রণালয় জানায়, শিবিরগুলোতে প্রায় ৫ হাজার ৬১৭টি শিক্ষাকেন্দ্র স্থাপন করে রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করেছে বর্তমান সরকার। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এডুকেশন সেক্টর অপারেশনস বা ইউনিসেফ কেউই এই শিক্ষা সুযোগ বন্ধের ব্যাপারে কোনও ধরনের উদ্বেগ প্রকাশ করেনি।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের দ্রুত, টেকসইভাবে ও সেচ্ছায় প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশকে সহযোগিতার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রশংসা করছে সরকার।

এতে বলা হয়, মিয়ানমার কারিকুলামের আওতায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষাদানের বিষয়টিকে তাদের গঠনমূলক ও দক্ষতা বাড়ানোর প্রচেষ্টা হিসেবে বিবেচনা করছে বাংলাদেশ সরকার। ওই শিশুদের যা শিগগিরই স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনে উৎসাহ দেবে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ০৬ মে, ২০২২)