দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: কুমিল্লায় বাবার কাছে পাওনা টাকা আদায়ের জন্য কিশোরকে অস্ত্র ঠেকিয়ে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে ওই কিশোরের বাবা বুড়িচং থানায় ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করছেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বুড়িচং থানার ওসি মাকছুদ আলম।

নির্যাতিত সাহেদ হোসেন ওরফে শান্ত (১৪) উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী ভৈরবপুর গ্রামের ইউসুফ মিয়ার ছেলে। গত মঙ্গলবার ঈদের দিন বিকেলে ভৈরবপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটলেও ওই কিশোরকে নির্যাতনের ছবি শুক্রবার থেকে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কিছুদিন আগে শান্তর বাবা ইউসুফ মিয়া একই গ্রামের দুলু মিয়ার ছেলে ফার্নিচার ব্যবসায়ী নাহিদুলের কাছ থেকে একটি খাট ক্রয় করেন। এতে ৪৫০ টাকা বকেয়া ছিল। ঈদের কয়েকদিন আগে ব্যবসায়ী নাহিদুল তাদের বাড়ি গিয়ে বকেয়া টাকার জন্য গালমন্দ করে। এতে ইউসুফ মিয়া সপ্তাহ খানেক পরে টাকা পরিশোধ করবেন বলে জানান। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

ইউসুফ মিয়া জানান, ঈদের দিন তার ছেলে শান্ত বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে বের হয়। এ সময় ফার্নিচার ব্যবসায়ী নাহিদুল, তার ভাই নাজমুল ও সঙ্গে থাকা আনোয়ার ও জসিম শান্তকে তার বন্ধুদের সামনে থেকে দেশীয় অস্ত্র ঠেকিয়ে টানা-হেঁচড়া করে নাজমুলের বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে তাকে বেধড়ক মারধর করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন মারধরের ভিডিও ও ছবি তুলে রাখে। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সচিব ও গ্রাম পুলিশ সেখান থেকে শান্তকে উদ্ধার করে।

ওসি মাকছুদ আলম জানান, ঈদের দিন এই ঘটনা ঘটলেও ওই কিশোরের বাবা শুক্রবার রাতে নির্যাতনের অভিযোগে ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। শিগগির তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ০৭ মে, ২০২২)