ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র গতি ভারতমুখী
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ উত্তর-পশ্চিম দিকে ভারতের উপকূল অভিমুখে গতিপথ বজায় রেখে অগ্রসর হচ্ছে। এর সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠছে। ২৫ কি.মি. গতিতে ভারতের অন্ধ্র-উড়িষ্যা উপকূলের দিকে ধাবিত হচ্ছে ‘অশনি’। এটি বুধবার অথবা বৃহস্পতিবার ভারতের উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ বলছে, ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ আঘাতের সময়ে কিছুটা পূর্ব দিকে বাঁক নিয়ে উড়িষ্যা হয়ে পশ্চিমবঙ্গের উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
এ সময়ে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা-খুলনা উপকূলে ঝড়ো হাওয়ার ঝাপটা আসতে পারে। উপকূলে আঘাত বা অতিক্রমের সময়ে কিংবা তার আগে সমুদ্রে শক্তিক্ষয় হয়ে ‘অশনি’ দুর্বল হয়েও পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অন্ধ্র-উড়িষ্যা উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে। তখন স্পষ্ট হতে পারে ‘অশনি’র মতিগতি।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলসহ অনেক জায়গায় দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়াসহ মাঝারি থেকে ভারী, অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চট্টগ্রামে দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে থেমে থেমে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হচ্ছিল। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় শত শত সামুদ্রিক মাছ শিকারি ট্রলার নৌযান পোতাশ্রয়ে অলস বসে আছে। বর্ষণের ফলে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পাচ্ছে। সাগর উত্তাল থাকায় সমুদ্র বন্দরসমূহে ২ নম্বর সতর্ক সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ ঘূর্ণিঝড় শ্রীলঙ্কার দেওয়া নাম ‘অশনি’। সিংহলী ভাষায় যার অর্থ ‘ক্রোধ’ বা ‘রোষ’।
আবহাওয়া বিভাগ ভারী বর্ষণের সতর্কবার্তায় জানায়, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী (২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারী (৮৯ মি.মি. বা তারও বেশি) বর্ষণ হতে পারে।
বিশেষ আবহাওয়া বুলেটিনে আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান জানান, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ পশ্চিম, উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
গতকাল দুপুরে ‘অশনি’ চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ১১০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ১০৪৫ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১০১৫ কি.মি. দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে এক হাজার কি.মি. দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরো উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কি.মি., যা দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব অথবা পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। এসব এলাকার নৌ-বন্দরসমূহকে ২ নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারি সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায়, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বিজলী চমকানোসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। মাদারীপুর, রাঙ্গামাটি, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, খুলনা ও যশোর জেলাসহ সিলেট বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তবে তা প্রশমিত হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সে. হ্রাস এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। আগামী ৭২ ঘণ্টায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।
নোয়াখালী ব্যুরো জানান, ঘূর্ণিঝড় ’অশনি’ এর কারণে নদী উত্তাল থাকায় মেঘনা বেষ্ঠিত হাতিয়া উপজেলার সঙ্গে সারা দেশের নৌ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। বিষয়টি জানান হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম হোসেন। এতে করে দুর্ভোগে পড়েছে হাতিয়া থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালীসহ বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার জন্য অপেক্ষমান যাত্রীরা।
গতকাল সোমবার সকাল থেকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে উপজেলা প্রশাসন পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নৌ চলাচল বন্ধ থাকবে। এছাড়া মাছ ধরার সকল প্রকার নৌকা ও ট্রলাকে উপকূলের কাছাকাছি থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
খুলনা ব্যুরো জানান, ঘূর্ণিঝড় প্রভাবে খুলনা ও এর আশপাশের এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারি ৩৪৯টিসহ মোট ৮১৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান তালুকদার গতকাল দুপুরে জানান, এখন পর্যন্ত ২ নম্বর সতর্কতা সংকেত আছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারি-বেসরকারি আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তৃণমূলের স্বেচ্ছাসেবকদের মাঠে সক্রিয় রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষে সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিং করা হচ্ছে। বন বিভাগের পক্ষ থেকেও কঠোর মনিটরিং করা হচ্ছে।
বরিশাল ব্যুরো জানান, ‘অশনি’ দক্ষিনাঞ্চলবাসীর দড়জায় কড়া নাড়ছে। ৭০ ভাগ আধাপাকা ও পাকা বোরো ধান এখনো মাঠে। ফলে বরিশাল কৃষি অঞ্চলের ১১ জেলার সাড়ে ১০ লাখ কৃষকসহ গৃহস্থ্য পরিবারগুলোর দুঃশ্চিন্তার শেষ নেই। বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের সব নদী বন্দরে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকেও ২ নম্বর সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। গতকাল সোমবার শেষরাত থেকেই সমগ্র দক্ষিণ উপকূলীয় এলাকায় হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি চুড়ান্ত করা হয়েছে এরইমধ্যে।
স্টাফ রিপোর্টার, মাগুরা থেকে জানান, মাগুরায় ঘূর্ণিঝড় ভয়ে গাছের অপরিপক্ক লিচু পাড়তে চাষিরা মরিয়া হয়ে পড়েছে। ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসছে এমন সংবাদে মাগুরার লিচুপল্লী হাজরাপুর, হাজিপুর, রাঘবদাইড়, নড়িহিাটি এলাকায় রয়েছে তিন’শর বেশি লিচু বাগান। এবার লিচুও ধরেছে প্রচুর। প্রচণ্ড ক্ষরায় অপরিপক্ক লিচু লাল রং ধারণ করলেও লিচুর মান ধরে রাখতে আরো এক সপ্তাহ পরে ভাংতে চেয়েছিল বাগান মালিকরা। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের খবর পেয়ে সবাই ছুটছে লিচু বাগানের দিকে।
স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা থেকে জানান, আঘাত হানার শংকা কমলেও সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপকূলের মানুষ রয়েছে চরম উদ্বেগ উৎকণ্ঠায়। সুন্দরবন সংলগ্ন শ্যামনগর উপজেলাকে ঘিরে থাকা ৫ ও ১৫ নম্বর পোল্ডারের উপকূল রক্ষা বাঁধের ১৭টি ঝুঁকিপূর্ণ অংশ নিয়ে ভাঙন আতংকে দিন কাটাচ্ছে তারা।
খোলপেটুয়া, কপোতাক্ষ ও কালিন্দি নদী থেকে সমগ্র লোকালয়কে সুরক্ষা দেয়া বাঁধের এসব অংশ নিচু হয়ে যাওয়ায় তা ভীতিকর অবস্থায় পৌঁছেছে।
স্বাভাবিকের তুলনায় নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি হলে সংলগ্ন অংশের বাঁধ ছাপিয়ে ও ভেঙে পানি লোকালয়ে প্রবেশের আশঙ্কা রয়েছে জানায় স্থানীয়রা।
বাগেরহাট জেলা সংবাদদাতা জানান, ঘূর্ণিঝড় অশনি‘র প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। থেমে থেমে গুড়ি গুড়ি ও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে স্বাভাবিক জীবন-যাত্রা কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। তবে স্বাভাবিক রয়েছে মোংলা বন্দরের কার্যক্রম।
ভোলা জেলা সংবাদদাতা জানান, ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলায় সকাল থেকে সারাদিন বৃষ্টি হয়েছে। বইছে হালকা বাতাস। গতকাল সকাল থেকে বৃষ্টির সঙ্গে হালকা বাতাস বইতে শুরু করে। এতে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ। সদর রোড এলাকায় সাধারণ মানুষের উপস্থিতি কমে যায়। খুব জরুরী কাজ ছাড়া অধিকাংশ মানুষ ঘর থেকে বের হয়নি। এদিকে ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদী উত্তাল হয়ে ওঠেছে। নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ আতঙ্কিত রয়েছে। সমুদ্র উত্তাল হওয়ায় অধিকাংশ মাছধরা ট্রলার ঘাটে ফিরেছে। কেউ কেউ সমুদ্রতীরের বিভিন্ন ছোট খালে আশ্রয় নিয়েছে। যারা এখনও ঘূর্ণিঝড়ের সংকেত পায়নি, তাদেরকে সংকেত পৌঁছে সতর্ক করার পাশাপাশি তীরে আনার চেষ্টা চলছে।
পিরোজপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা পিরোজপুরে গতকাল সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। জেলার প্রধান নদী বলেশ্বর, কচা ও সন্ধ্যা নদীতে বাড়তে শুরু করেছে পানি। তবে স্থানীয় জনগণের মাঝে এখনো উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়নি অশনি। এদিকে, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় পিরোজপুরের সদর, ইন্দুরকানী, মঠবাড়িয়া, ভান্ডারিয়া, কাউখালী, নাজিরপুর, নেছারাবাদ উপজেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ২৫২টি সাইক্লোন শেল্টার এবং ৬৯টি মেডিক্যাল টিমকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান জানান, পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে জনগণকে সতর্ক করার জন্য মাইকিং করা হবে। সেবা প্রদানের জন্য জেলায় রেড ক্রিসেন্টের মোট দেড় হাজার সদস্য প্রস্তুত রয়েছেন।
বরগুনা জেলা সংবাদদাতা জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় বরগুনা জেলায় ৬২৯টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ৮ হাজার ৪৪০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে উপকূলীয় মাছ ধরার ট্রলার গুলো নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টির কারণে রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। টানা বর্ষণে বোরোসহ রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় অশনি উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও পাশের এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তাল রয়েছে। আকাশে মেঘের ঘনঘটা বিরাজ করছে। গত রোববার ভোররাত থেকেই টানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে নয়টায় জেলায় ৪.৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। একই সাথে বাতাসের চাপ কিছুটা বেড়েছে। পটুয়াখালীর পায়রাসহ সব বন্দর সমূহকে ২ নম্বর সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। সকল মাছধরা ট্রলার সমূহকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ১০ মে, ২০২২)