নূরানী ডাইংয়ের আইপিওর অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে কমিটি
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : দেশের পুঁজিবাজারে বস্ত্র খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি নুরানী ডাইং অ্যান্ড সোয়েটার। সম্প্রত কোম্পানিটির বিরুদ্ধে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) অর্থ আত্মসাত এবং প্রতারণামূলক আর্থিক প্রতিবেদন তৈরির অভিযোগ উঠেছে। দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক একচেঞ্জের (ডিএসই) তদন্তে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
এরই ধারাবাহিকতা নূরানী ডাইংয় অ্যান্ড সোয়েটারের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গঠিত কমিটিকে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনে জমা দিতে বলা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সোমবার (৯ মে) ঢাকা স্টক একচেঞ্জ ও নুরানী ডাইং অ্যান্ড সোয়েটারের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি ইস্যু করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন– বিএসইসির উপ-পরিচালক মো: সিরাজুল ইসলাম ও মো: রতন মিয়া।
বিএসইসির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ডিএসই সম্প্রতি কোম্পানিটির আইপিওয়ের টাকা ব্যবহার নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে। সেই কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে কোম্পানিটির আইপিও টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রমানিত হয়। আইপিওয়ের টাকা আত্মসাতের পাশাপাশি আর্থিক প্রতিবেদনে প্রতারণামূলক ভুল তথ্য উত্থাপন করা হয়েছে। আর্থিক প্রতিবেদনে বিক্রি করা মালামালের মিথ্যা, অসত্য, বানোয়াট তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। ডিএসইর এমন তথ্যের ভিত্তিতে কমিশন দ্রুত তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয়। কমিটিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় নূরানী ডাইংয় অ্যান্ড সোয়েটারে। ‘এ’ ক্যাটাগরির এ কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ১২২ কোটি ৬২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১২ কোটি ২৬ লাখ ২৫ হাজার ৩০টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ৩০.৯৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৭.২৮ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫১.৭৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। সোমবার (৯ মে) নূরানী ডাইংয় অ্যান্ড সোয়েটারে শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৭.১০ টাকায়।