টিসিবির পণ্য বিক্রি স্থগিতের যে ব্যাখ্যা দিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: সোমবার (১৬ মে) টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রম শুরুর কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। গতকাল রোববার (১৫ মে) রাতে টিসিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কার্যক্রম স্থগিতের কথা জানানো হয়। তবে, সুস্পষ্ট কোনো কারণ জানানো হয়নি।
কী কারণে টিসিবির পণ্য বিক্রি স্থগিত করা হয়েছে সোমবার সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেছেন, ‘সরকারিভাবে আমরা ১ কোটি মানুষকে টিসিবির পণ্য দিয়েছি দুই বার। এ কার্যক্রম নিয়মিত করতে চাই। ১৬ তারিখ থেকে যেটা দিতে চেয়েছিলাম, সেটা কিন্তু ১ কোটি মানুষকে নয়, ট্রাকে করে ঢাকা-চট্টগ্রাম এমন শহরগুলোতে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের বলেছেন, শহরের মানুষকে দেওয়া হচ্ছে, গ্রামের মানুষকে তো দেওয়া হচ্ছে না।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এর আগে ঢাকাতে আমরা কোনো তালিকা করতে পারিনি। ফলে, যে নেটওয়ার্কে গ্রামে দেওয়া হয়েছিল, সেভাবে ঢাকার মানুষকে দিতে পারিনি। ঢাকাতে ট্রাকে করে খোলাবাজারে দেওয়া হয়েছে। ১ কোটির মধ্যে ১৫ লাখ মানুষকে আমরা ট্রাকে করে দিয়েছি। বাকি ৮৫ লাখ, দরিদ্রসীমার নিচে যে কার্ড থাকে তাদের দেওয়া হয়। সে কারণে টিসিবি বিক্রয় কার্যক্রম আমরা রিঅ্যারেঞ্জ করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘৮৫ লাখ মানুষকে বাদ দিয়ে ১৫-১৬ লাখ মানুষকে দেওয়ার চেয়ে, একটুখানি চাপ দিয়ে এই ১৫ দিনের মধ্যে ঢাকা ও বরিশালে তালিকা আমরা করিয়ে নেবো, যাদের আমরা দেবো। তাহলে জুনের প্রথম থেকেই আমরা ১ কোটি মানুষকে দেওয়া শুরু করতে পারব। এই ১৫ দিন পিছিয়ে গেছি আসলে আরও বেশি অ্যাডভ্যান্স হওয়ার জন্য।’
এর আগে গত ১১ মে টিসিবি থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল যে, ১৬ মে থেকে খোলাবাজারে ১১০ টাকা দরে সয়াবিন তেল বিক্রি শুরু করা হবে। পাশাপাশি, অন্যান্য পণ্যও বিক্রি করা হবে। তবে, রোববার রাতে হুট করেই সেই কার্যক্রম স্থগিত করে সংস্থাটি।
টিসিবি জানায়, ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পর আগামী জুন মাসে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে ১ কোটি নিম্নআয়ের পরিবারের কাছে টিসিবির ভর্তুকিমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করা হবে।
প্রসঙ্গত, এতদিন সারা দেশে নিম্ন আয়ের পরিবারের মাঝে সাশ্রয়ী মূল্যে তেল, চিনি, ডাল, পেঁয়াজ, খেজুর বিক্রি করেছে টিসিবি। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ট্রাকে করে বিক্রি করা হতো। এখন ফ্যামিলি কার্ড প্রবর্তনের কারণে এ সুযোগ আর থাকছে না।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ১৬ মে, ২০২২)