দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দেশের বাইরে থেকে একটি গবাদি পশুও আমদানি করতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি।

তিনি বলেন, সাধারণত আমাদের দেশে মহিষ দিয়ে খুব একটা কোরবানি দেয়া হয় না। এক্ষেত্রে গরু, ছাগল ও ভেড়ার চাহিদা বেশি। আমাদের উৎপাদিত পর্যাপ্ত পরিমাণ পশু মজুদ আছে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবারের কোরবানির ঈদে বিদেশ থেকে একটি গবাদি পশুও আমদানি করা হবে না।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দফতরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সংগঠন ‘ফিশারিজ অ্যান্ড লাইভস্টক জার্নালিস্ট ফোরামের (এফএলজেএফ)’ সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘আমাদের যে পরিমাণ পশু উৎপাদন হচ্ছে, তা চাহিদা মিটিয়েও উদ্বৃত্ত থাকে। গত বছর কোরবানিতে উৎপাদিত গরুর ১০ ভাগের এক ভাগও বিক্রি হয়নি। এর সঙ্গে এ বছরের জন্য উপযুক্ত মিলিয়ে অনেক পশু খামারিদের হাতে রয়েছে। সাড়ে সাতশ খামারি এবং গৃহস্থের কাছে থাকা গবাদিপশু দিয়ে প্রয়োজন মেটানো সম্ভব।’
তিনি বলেন, ‘এ বছর করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। গত বছরের মতো খামারিদের গরু নিয়ে ফিরে যেতে হবে না। উপযুক্ত দামেই গরু বিক্রি করতে পারবেন। বর্ডার এলাকায় আরও কঠোর থাকতে বিভিন্ন সংস্থাতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যাতে দেশে বাইরের পশু না আসে। বাইরের পশু রোগ নিয়ে আসলে সেটি ছড়িয়ে যেতে পারে।’

গরুর মাংসের দাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা সাড়ে পাঁচশ টাকা দামে গরুর মাংস বিক্রি করেছি, তারা কেন পারবেন না। দু-তিন জন মধ্যস্বত্বভোগী মাঝে ঢুকে যায়। এ কারণে দামটা বেশি। আমরা তো লোকসানে বিক্রি করিনি, তাহলে তারা কেন পারবেন না।’

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ১৭ মে, ২০২২)