প্রথম ধাপের ভোটার তালিকা হালনাগাদ আজ শুরু
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: আজ শুক্রবার (২০ মে) থেকে বাড়িবাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রথম ধাপে ১৪০ উপজেলায় ৯ জুলাই পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে। পরবর্তীতে তিন ধাপে অন্য উপজেলাগুলোতে কর্মসূচি হাতে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ইসি।
এই কার্যক্রম চলবে আগামী ২০ নভেম্বর পর্যন্ত। এই কার্যক্রমে ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার পূর্বে জন্মগ্রহণকারীদের তথ্য সংগ্রহ করবে ইসি। কম বয়সীরা পরবর্তীতে বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার তালিকায় যুক্ত হবেন।
নতুন ভোটার হতে যেসব কাগজ-পত্র লাগবে
নিবন্ধনের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পূরণকৃত নিবন্ধন ফরম-২ এর সাথে অনলাইন জন্ম সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) অথবা এসএসসি বা সমমান পরীক্ষা বা যে-কোনো পাবলিক পরীক্ষা পাশের সনদের ফটোকপি; নাগরিক সনদ, প্রত্যয়নপত্র/বাড়ি ভাড়া/হোল্ডিং ট্যাক্স/ যে-কোনো ইউটিলিটি বিল পরিশোধের রসিদের কপি জমা দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।
২০০৭-২০০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা কার্যক্রম হাতে নেয় ইসি। সেই সময় ৯ কোটি ভোটারের ডাটাবেজ তৈরি করা হয়। ইসির সর্বশেষ দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে ১১ কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ১০ জন ভোটার রয়েছে। এরমধ্যে ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৮৯ হাজার ৫২৯ জন পুরুষ, ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ২৭ জন নারী ভোটার এবং ৪৫৪ জন হিজড়া ভোটার রয়েছে।
ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় পূরণ করা তথ্যের কপি নিবন্ধন কেন্দ্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সরবরাহ করা হবে। এতে নাগরিকরা নাম, জন্মতারিখ ঠিক আছে কি-না তা দেখে ভুল থাকলে তাৎক্ষণিক সংশোধন করার সুযোগ পাবেন। মাঠপর্যায়ে এবারই প্রথম নাগরিকদের জন্য এমন সুযোগ রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারা।
এই বিষয়ে ইসির সহকারী সচিব মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, যেহেতু ভোটার তালিকার জন্য সংগ্রহ করা তথ্যের ভিত্তিতেই জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেওয়া হয়। সেই কারণে ভোটার তালিকায় কোনো ভুল হলে এনআইডিতেও ভুলটাই আসবে। তাই ভোটার তালিকা নির্ভুল রাখার জন্য এবার নিবন্ধন কেন্দ্রে গিয়ে ব্যক্তি তার তথ্য যাচাই করে নেওয়ার সুযোগ পাবেন।
সম্প্রতি ইসির সহকারি সচিব মো. মোশাররফ হোসেন স্বাক্ষরিত সকল উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো এই সংক্রান্ত নির্দেশনায় বলা হয়- নিবন্ধন কেন্দ্রে ডাটা এন্ট্রির পর আবশ্যকীয় ফিল্ডসমূহের যথাঃ নাম, পিতা/মাতা/স্বামী/স্ত্রীর নাম ও জন্ম তারিখ ইত্যাদি ডাটার একটি প্রিন্ট কপি ভোটারকে প্রুফ করে দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা থাকবে। টাইপিং ভুল কমাতে ভোটারকে একটি প্রিন্ট কপি দেখাতে হবে এবং তাতে কোনো ভুল থাকলে তা লিখে নিয়ে ভোটারের স্বাক্ষর গ্রহণ করতে হবে এবং নিবন্ধন ফরমের সাথে শিক্ষা সনদ ও জন্ম সনদের ন্যায় এটিও ডাটাবেজে স্ক্যান করে সংযুক্ত করে রাখতে হবে। এজন্য প্রতিটি রেজিস্ট্রেশন সেন্টারে একটি করে ডকুমেন্ট প্রিন্টারও থাকবে।
এছাড়া হালনাগাদের সময় নিবন্ধন কেন্দ্রে বায়োমেট্রিক হিসেবে ছবি ও স্বাক্ষরের পাশাপাশি ভোটারের ১০ আঙ্গুলের ছাপ ও আইরিশের প্রতিচ্ছবি নেওয়া হবে এবং তা ইসির সার্ভারে সংরক্ষণ করা হবে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ২০ মে, ২০২২)