দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : হাইকোর্টের নির্দেশে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের পর দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজি সেলিমকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

রোববার শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭-এর বিচারক শহিদুল ইসলাম এ আদেশ দেন। তার আগে বেলা ৩টার কিছু পর হাজি সেলিম আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করেন।

দুর্নীতির মামলায় জামিনের আবেদন করেন ১০ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত হাজি সেলিম। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলও করবেন তিনি। একই সঙ্গে উন্নত চিকিৎসা ও কারাগারে ডিভিশনের আবেদনও করেছেন আলোচিত এই সংসদ সদস্য। অল্প সময়ের মধ্যেই ডিভিশন নিয়ে বিচারক আদেশ দেবেন বলে জানা গেছে।

হাজি সেলিমের হয়ে এসব আবেদন করার কথা জানিয়েছেন তার আইনজীবী প্রাণনাথ।

আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর জামিন বাতিল হলে হাজি সেলিমকে কারাগারে যেতে হয়। সে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তিনি ডিভিশনের আবেদন করেন।

দুর্নীতির মামলায় সাজা নিয়ে ঈদের আগে অনেকটাই চুপিসারে দেশ ছেড়ে আলোচনার জন্ম দেয়া এ নেতা দেশেও ফেরেন গোপনে।

ঈদের ছুটি শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন। সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা না দিয়েই তিনি দাবি করেন, আইন অনুযায়ীই দেশের বাইরে গিয়ে ফিরে এসেছেন হাজি সেলিম।

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিচারিক আদালত হাজি সেলিমকে ১৩ বছরের দণ্ড দিয়েছিল। রায়ের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে আপিল করেন।

২০২০ সালের ৯ মার্চ বিচারপতি মো. মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের ভার্চুয়াল বেঞ্চ তার ১০ বছরের সাজা বহাল রাখে।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি এই রায় প্রকাশ হয়। এতে রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্যকে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭-এ আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেয়া হয়।

গত ৯ মার্চ পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করে হাইকোর্ট।

এই হিসেবে ৯ এপ্রিলের মধ্যে কেন হাজি সেলিম আত্মসমর্পণ করেননি, সেটির ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তার আইনজীবী।

তিনি বলেন, ‘২০২১ সালের মার্চ মাসে মৌখিকভাবে হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করে। এরপর চলতি বছরের ৯ মার্চ অনলাইনে রায়টি প্রকাশ করা হয়। আর রায়টি অফিশিয়ালি বিচারিক আদালতে কমিউনিকেট করা হয় গত ২৫ এপ্রিল। সে হিসেবে তারপর থেকে এক মাস, অর্থাৎ ২৫ মে পর্যন্ত সময় হাতে রয়েছে।’

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ২২ মে, ২০২২)