‘মিডিয়া মনিটরিং কমিটি’ গঠন করল ইসি
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ফেসবুক, ইউটিউব ইত্যাদিসহ গণমাধ্যম পর্যবেক্ষণে চার সদস্যের একটি ‘মিডিয়া মনিটরিং কমিটি’ গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কমিটি প্রতিদিন ইসিকে নিয়ে যে কোনো খবর, প্রচার-প্রচারণা পর্যবেক্ষণ করে প্রতিবেদন দাখিল করবে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য কমিশনারদের কাছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) এ কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মিডিয়া মনিটরিংয়ের জন্য এ ধরনের কমিটি গঠনের ঘটনা আগে ঘটেনি। বিষয়টিকে তারা ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন।
কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই নানা তোড়জোড় শুরু করেছেন। ফেব্রুয়ারিতে নিয়োগ পাওয়ার এক মাসের মধ্যে বিশিষ্টজন, শিক্ষাবিদ ও গণমাধ্যমের সঙ্গে সংলাপ, ইভিএম নিয়ে প্রযুক্তিদের সঙ্গে পরামর্শের মতো বড় কর্মসূচি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছেন। সামনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও বৈঠক করবেন। এরইমধ্যে গঠন করা হয়েছে মিডিয়া মনিটরিং কমিটি।
ইসির জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক মো. আশাদুক হক স্বাক্ষরিত কমিটি গঠনের অফিস আদেশ থেকে জানা গেছে, পরিচালক (জনসংযোগ) ও যুগ্ম সচিব এসএম আসাদুজ্জামানকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। অন্য তিন সদস্য হলেন- সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আছলাম, গ্রন্থাগারিক বেগম নাছিমা আক্তার ও সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আশাদুল হক।
কমিটির কার্যপরিধি
১. কমিটি বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়া, টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ফেসবুক ও ইউটিউব মনিটর করবে।
২. কমিটির সদস্যরা তার দায়িত্বাধীন নির্ধারিত মিডিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় কী খবর ছাপানো বা প্রকাশিত হয়েছে তা বেলা ১১টার মধ্যে কমিটির আহ্বায়কের কাছে রিপোর্ট করবে।
৩. আহ্বায়ক তা প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও সচিবের কাছে উপস্থাপন করবেন।
৪. কমিটি প্রয়োজনে যে কোনো কর্মকর্তাকে কো-অপ্ট করতে পারবে।
এদিকে কেবল মিডিয়া মনিটরিং কমিটিই ইসির সংক্রান্ত খবর, প্রচার-প্রচারণা পর্যবেক্ষণ করবে, তা নয়। মাঠ পর্যায়ে সব কর্মকর্তাকেও বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। এক্ষেত্রে দেশের যে স্থানে যে কোনো কিছু হলে তা কমিটিতে অবহিত করতে হবে।
মাঠ কর্মকর্তাদের পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়েছে- প্রতিনিয়ত নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট সংবাদ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, প্রিন্ট মিডিয়া ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত হচ্ছে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক, ইউটিউব ইত্যাদি) প্রচারিত নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট কোনো তথ্য/ভিডিও কোনো কর্মকর্তার নজরে এলে তা মিডিয়া মনিটরিং কমিটিকে অবহিত করবেন।
এবারই প্রথমবারের মতো আইন প্রণয়ন করে নিয়োগ দেওয়া হয় হাবিবুল আউয়াল কমিশন। ইতোমধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ঘোষণা দিয়েছেন তারা সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য চেষ্টার কোনো ত্রুটি করবেন না। নির্বাচন কমিশনাররাও বলছেন, এবারের নির্বাচন প্রহসনের নির্বাচন হবে না। দিনের ভোট দিনেই হবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২০২৪ সালে জানুয়ারি থেকে আগের ছয় মাসের মধ্যে। এক্ষেত্রে কিছুটা আগে ভাগেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ইসি। চলছে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজও।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ২৭ মে, ২০২২)