জাতিসংঘের চার আঞ্চলিক ইনস্টিটিউশনের সদস্য হলো বাংলাদেশ
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ব্যাংকক ও থাইল্যান্ডে জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসসিএপি) চারটি আঞ্চলিক ইনস্টিটিউশনের পরিচালনা পরিষদের সদস্য হয়েছে বাংলাদেশ।
ভারতকে বাদ দিলে বাংলাদেশই একমাত্র দেশ, যেটি ইউএনএসসিএপির চারটি আঞ্চলিক ইনস্টিটিউশনের সবগুলোর পরিচালনা পরিষদে নির্বাচিত হয়েছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৬ মে) ইউএনএসসিএপির ৭৮তম কমিশন অধিবেশনের ফাঁকে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। থাইল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানা গেছে। ২০২২ থেকে ২০২৫ সাল মেয়াদে বাংলাদেশ এই দায়িত্ব পালন করবে।
চারটি আঞ্চলিক ইনস্টিটিউশন হলো- স্ট্যাটিসটিক্যাল ইনস্টিটিউট ফর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক (এসআইএপি), দ্য এশিয়ান অ্যান্ড প্যাসিফিক ট্রেইনিং সেন্টার ফর ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি ফর ডেভলপমেন্ট (এপিসিআইসিটি), দ্য সেন্টার ফর সাসটেইনাবল অ্যাগ্রিকালচারাল ম্যাকানাইজেশন (সিএসএএম) ও চায়না অ্যান্ড এশিয়ান অ্যান্ড প্যাসিফিক সেন্টার ফর দ্য ডেভলপমেন্ট অব ডিজ্যাস্টার ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট (এপিডিআইএম)।
এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এসআইএপি জাপানের মাকুহারিতে, এপিসিআইসিটি কোরিয়ার ইঞ্চিওন সিটিতে, সিএসএএম চীনের বেইজিংয়ে ও এপিডিআইএম ইরানের তেহরানে অবস্থিত।
থাইল্যান্ডের ব্যাংককে, ফিজির সুভায় ইএসসিএপির প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপ-আঞ্চলিক কার্যালয় ও চীনের বেইজিংয়ে জাতিসংঘ কম্পাউন্ডে একই সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইএসসিএপির পাঁচটি আঞ্চলিক ইনস্টিটিউশন আছে। সংস্থাটির বিভিন্ন স্বতন্ত্র শাখাকে তাদের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করে এসব ইনস্টিটিউশন। জাতিসংঘের এই বৃহৎ সংস্থায় এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নেতারা বাংলাদেশকে কীভাবে মূল্যায়ন করে, তার একটি জ্বলন্ত উদহারণ এই নির্বাচন।
পরিচালনা পরিষদের সদস্য হওয়ার মাধ্যমে এসব ইনস্টিটিউশনের বিভিন্ন কর্মসূচি, অর্থনীতি ও প্রশাসনিক বিষয়াদিতে পরামর্শ দেয়ার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ। এতে সক্ষমতা বৃদ্ধি, আইসিটি, কৃষি, পরিসংখ্যান, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা খাতে আরও বেশি নজর দেয়ারও সুযোগ তৈরি হবে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ২৮ মে, ২০২২)