অর্থ পাচারের অভিযোগে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী গ্রেপ্তার
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনকে অর্থ পাচারের অভিযোগে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) গ্রেপ্তার করেছে। তদন্ত সংস্থাটি অভিযোগ করে বলেছে, অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকারের এই মন্ত্রী ২০১৫-১৬ সালে কলকাতার একটি সংস্থার সঙ্গে ‘হাওয়ালা’ লেনদেনে জড়িত ছিলেন। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ব্যাংক ছাড়া কোনো এজেন্টের মাধ্যমে দুই পক্ষের মধ্যে অর্থ লেনদেন হলে তাকে হাওয়ালা বলে। এর আগে ২০১৭ সালে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) ১ কোটি ৬২ লাখ রুপি পাচারের অভিযোগে জৈন ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল। সিবিআই অভিযোগ করেছে, জৈন ও তাঁর পরিবার চারটি শেল ফার্ম প্রতিষ্ঠার জন্য ২০১১-১২ সালে ১১ কোটি ৭৮ লাখ এবং ২০১৫-১৬ সালে ৪ কোটি ৬৩ লাখ রুপি পাচার করেছিলেন। এসব ফার্মের প্রকৃত অর্থে কোনো ব্যবসা নেই।
দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রীর গ্রেপ্তার সম্ভবত মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে একটি নতুন লড়াইয়ের জন্ম দেবে বলে মনে করছে আম আদমি পার্টি। পশ্চিমবঙ্গের মমতা ব্যানার্জি এবং তেলেঙ্গানার কে চন্দ্র শেখর রাও প্রায়ই অভিযোগ করতেন যে, তাদের হয়রানি করতে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোকে ব্যবহার করা হয়েছিল।
দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া এক টুইটার পোস্টে বলেছেন, হিমাচল প্রদেশের আসন্ন নির্বাচনের দিকে নজর রেখে জৈনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কারণ সত্যেন্দ্র জৈন আম আদমি পার্টির একজন দায়িত্বশীল নেতা।
মনীশ সিসোদিয়া আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে সত্যেন্দ্র জৈনের বিরুদ্ধে একটি ভুয়া মামলা চলছে। এখন পর্যন্ত ইডি বহুবার তদন্ত করেছে, কিন্তু কিছু পায়নি। এখন তারা আবার শুরু করেছে কারণ সত্যেন্দ্র জৈন হিমাচলের নির্বাচনী ইনচার্জ। বিজেপি হিমাচলে খারাপভাবে হেরে যাচ্ছে। সেই কারণেই আজ সত্যেন্দ্র জৈনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে যাতে তিনি হিমাচল যেতে না পারেন।’
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ৩১ মে, ২০২২)