নির্বাচনে জিতে ইশতেহারের ঘোষণা ভুলি না : শেখ হাসিনা
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা দিয়ে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করার পর আমরা সেটা ভুলে যাই না।
বুধবার (১ মে) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সভার শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, ১৫ আগস্টের শহীদ ও উপদেষ্টা পরিষদের প্রয়াত সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এ সময় তাদের সবার আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা দিয়ে জয়ী হওয়ার পর সরকার গঠন করে আমরা সেটা ভুলে যাই না। প্রতিবার বাজেট ঘোষণার সময় সেই ইশতেহার হাতে নিয়ে কতটুকু অর্জন করতে পারলাম, কতটুকু আমাদের সামনে করতে হবে সেগুলো বিবেচনা করে সেভাবেই বাজেট করি।
সরকারপ্রধান বলেন, আমরা তৃণমূল থেকে উন্নয়ন করেছি। আজ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। পদ্মা সেতু একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। সততা ছিল বলেই এই চ্যালেঞ্জ নিতে পেরেছি, নিজের অর্থে সেই সেতু করেছি। ২৫ জুন উদ্বোধন করব ইনশাল্লাহ। কানাড কোর্ট রায়ে বলেছে সব অভিযোগ ভুয়া ও মিথ্যা। ড. ইউনুস এটা করেছে শুধু গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদের জন্য।
তিনি বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সম্মেলন করা হবে। তৃণমূল পর্যায় থেকে উন্নয়ন করছি। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।
সরকারপ্রধান আরও বলেন, ৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থা দুঃখজনক ছিল। কারণ ক্ষমতা তো জনগণের হাতে ছিল না। ক্ষমতায চলে গিয়েছিল সেই মিলিটারি ডিকটেটরদের হাতে।
তিনি বলেন, উর্দি পরে ক্ষমতা দখল করত। যার ফলে দেশের উন্নয়ন না হয়ে তারা তাদের উন্নয়ন করেছে। ১৯/২০টা ক্যু হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিল, সেশনজট ছিল।
তিনি বলেন, ৭১ বছর বয়স পর্যন্ত ড. ইউনূস বেআইনিভাবে গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি থেকেছেন। এ নিয়ে মামলা করে সে হেরে যায়। বিশ্বব্যাংক তার কথায় ফান্ড বন্ধ করে দেয়। পরে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে করি। দেশের ৯০ ভাগ উন্নয়ন নিজস্ব অর্থায়নে করছি। বাংলাদেশ আজ বদলে গেছে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ১ জুন, ২০২২)