দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বিস্ফোরক অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই বিএম কনটেইনার ডিপোতে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড কেমিক্যাল মজুত করা হয়েছিল। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম বিস্ফোরক অধিদপ্তরের পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেন। 

রোববার (৫ জুন) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম বিস্ফোরক অধিদপ্তর জানায়, অধিদপ্তরে রাসায়নিক মজুতের জন্য যেসব প্রতিষ্ঠানের নাম তালিকাভুক্ত আছে, এর মধ্যে বিএম কনটেইনার ডিপোর মালিক প্রতিষ্ঠান স্মার্ট গ্রুপের নাম নেই। স্মার্ট গ্রুপ নিজস্ব কারখানায় হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড উৎপাদন করে বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে আসছিল।

বিএম কনটেইনার সূত্রে জানা গেছে, এই ডিপোতে প্রায় ২০ হাজার কনটেইনার ছিল। এর মধ্যে অধিকাংশ কনটেইনারে গার্মেন্ট পণ্য থাকলেও ৬/৭টি কনটেইনারে ছিল হাইড্রোজেন পার অক্সাইড। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যখন আগুন নেভাতে আসে তখন তাদের জানানো হয়, কনটেইনারে গার্মেন্ট পণ্য আছে। কেমিক্যাল থাকার কথা জানানো হয়নি।

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস বিভাগের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন জানান, সীতাকুণ্ড থেকে যখন ফায়ার সার্ভিসের টিম আগুন নেভাতে আসে, তখন তাদের কনটেইনারে কেমিক্যাল থাকার কথা জানানো হয়নি। কেমিক্যাল আছে জানলে ফায়ার সার্ভিস ভিন্ন কৌশলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করতো। এত কাছে গিয়ে তারা আগুন কখনও নেভাতো না। কারণ কেমিক্যাল থাকলে আগুনে বিস্ফোরণ ঘটবে, এটা সবাই জানে। কেমিক্যালের বিষয়টি গোপন করায় ফায়ার সার্ভিসের ৯ জন ফায়ার ফাইটারসহ এতগুলো প্রাণহাণি হলো।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ৯ জন রয়েছেন। রোববার (৫ জুন) রাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার আপডেট দেওয়া হালনাগাদ বোর্ডে এই তথ্য জানায় সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রশাসন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ৬ জুন, ২০২২)